শীর্ষ আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে অমিত শাহ
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে মোদী ঘনিষ্ট গুজরাতের বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আজ সহরাবুদ্দিন শেখ ও তুলসিরাম প্রজাপতির মিথ্যা এনকাউন্টার মামলায় ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত অমিত শাহের জামিন বলবত রাখল শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে মোদী ঘনিষ্ট গুজরাতের বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আজ সহরাবুদ্দিন শেখ ও তুলসিরাম প্রজাপতির মিথ্যা এনকাউন্টার মামলায় ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত অমিত শাহের জামিন বলবত রাখল শীর্ষ আদালত।
রাজ্য পুলিসের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সহরাবুদ্দিন শেখ ও তুলসিরাম প্রজাপতিকে মিথ্যা এনকাউন্টারে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অমিত শাহকে। সহরাবুদ্দদিন হত্যা মামলায় অমিত শাহ জামিন পান। সহরাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী তুলসিরামকে জেলের মধ্যে মিথ্যা এনকাউন্টারের হত্যার ঘটনাটি কে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে পৃথক মামলা হিসাবে গণ্য করার আবেদন করা হয়। দুটি ঘটনাকে পৃথক ভাবে গন্য করলে অমিত শাহকে ফের গ্রেফতার করতে পারত পুলিস। এবং এই বিতর্কিত বিজেপি নেতাকে সেক্ষেত্রে পৃথিকভাবে জামিনের আবেদন করতে হত। তাই মোদী ঘনিষ্ট অমিত শাহের পক্ষ থেকে দুটি মিথ্যা এনকাউন্টারকেই একটি অভিন্ন মামলা হিসাবে দেখার অনুরোধ করা হয়েছিল। আজ সুপ্রিমকোর্ট এই দুটি ঘটনাকে একটি অভিন্ন মামলার অংশ হিসাবে স্বীকৃত দিল। ফলে বহাল তাহল অমিত শাহের জামিনও।
এই জড়িত থাকার জন্য ২০১০-এ গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অমিত শাহ। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তিনমাস জেলে কাটান তিনি। এরপর জামিন পেলেও তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলাকে তিনি যাতে কোনও ভাবেই প্রভাবিত করতে না পারেন, তাই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গুজরাতে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যে ফেরার অনুমতি পান শাহ। গত বছরের গুজরাতের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জেতেনও তিনি।
বেশ কিছু মামলার সঙ্গে অমিত শাহের নাম জড়িত থাকলেও গত সপ্তাহতেই বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচিত হয়েছেন অমিত শাহ।