এসকর্ট সার্ভিসের সাইটে বউ-বোনের ছবি! বডি ম্যাসাজ খুঁজতে গিয়ে একি দেখলেন যুবক...
ওই যুবক অনলাইন ডেটিং ও বডি ম্যাসাজ সংক্রান্ত বিষয়ে নেটে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। সেই সময় তিনি একটি এসকর্ট সার্ভিসের ওয়েবসাইটে ঢোকেন। যেখানে ঢুকতেই তিনি বউ আর বোনের ছবি, সঙ্গে কিছু আপত্তিকর পোস্ট দেখতে পান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: এসকর্ট সার্ভিসের ওয়েবসাইটে ঢুকেছিলেন বছর একত্রিশের যুবক। আর সেখানে ঢুকতেই তাঁর চক্ষু থ হয়ে যায়। ওয়েবসাইট সার্ফিংয়ের সময় তাঁর চোখে পড়ে এসকর্ট সার্ভিসের ওই ওয়েবসাইটে রয়েছে বউ আর বোনের ছবি! যা দেখে রীতিমত হতভম্ব হয়ে যান মুম্বইয়ের বাসিন্দা ৩১ বছরের ওই যুবক। এরপরই ওই যুবক ওই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া এক মহিলার ফোন নাম্বারে ফোন করেন। তাঁকে দেখা করতে বলেন। তারপর ওই মহিলা দেখা করার সময়ই, তাঁকে ধরে খর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেন ওই যুবক ও তাঁর বাড়ির লোকেরা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক অনলাইন ডেটিং ও বডি ম্যাসাজ সংক্রান্ত বিষয়ে নেটে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। সেই ইন্টারনেট সার্ফিংয়ের সময়ই তিনি একটি এসকর্ট সার্ভিসের ওয়েবসাইটে ঢোকেন। যেখানে ঢুকতেই তিনি সেখানে দেখতে পান বউ আর বোনের ছবি। সঙ্গে কিছু আপত্তিকর পোস্ট। ছবি দেখামাত্র ওই যুবক তাঁর বোন ও স্ত্রীকে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যাতে তাঁরা জানান, ওই ছবিগুলি তাঁরা আদতে ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন। তাও বছর পাঁচেক আগে।
এরপরই এই ঘটনায় পুলিসের দ্বারস্থ হন ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস। তদন্তে ওই এসকর্ট সার্ভিসের ওয়েবাসাইটে ২টো মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায়। যারমধ্যে একটা নাম্বারের হোয়াটসঅ্যাপে আবার ওই যুবকের বোনের ছবি-ই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে করা ছিল। সেই নাম্বারটিতে যোগাযোগ করেন ওই যুবক। এক মহিলা উত্তর দেন। তাঁকে দেখা করতে বলেন ওই যুবক। ওই মহিলা রাজিও হয়ে যান। তারপরই ওই যুবক ও তাঁর স্ত্রী-বোন একটি হোটেলের ধারে অপেক্ষা করতে থাকেন।
আরও পড়ুন, বউ কোনও পণ্য নয়! পণের ১১ লাখ ফিরিয়ে 'সগুনে' মাত্র ১ টাকা নিলেন সরকারি চাকুরে পাত্র
কান ঘেঁষে ছুটছে ট্রেন, ছেলেকে বুকে আঁকড়ে বসে মা! হাড়হিম করা ভিডিয়োর শেষে...
যথা সময়ে ওই জায়গায় আসেন এসকর্ট সার্ভিস ওয়েবসাইটের ওই মহিলা। ওয়েবসাইটের তরফে তিনি এসেছেন বলে ওই যুবককে জানান। এরপরই ওই যুবক সরাসরি ওই মহিলাকে তাঁর বউ-বোনের ছবি ওয়েবসাইটে ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করেন। যাতে ঝামেলা শুরু করে দেন ওই মহিলা। তারপরই ওই যুবক ও তাঁর স্ত্রী-বোন মিলে অভিযুক্ত মহিলাকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিসের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ওই মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।