রাজনৈতিক খেলা নয়, বিকাশের জন্য বজায় রাখুন শান্তি, মন্ত্রীদের নিদান মোদীর
মঙ্গলবার, বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, দেশের বিকাশ দলের একমাত্র মন্ত্র। শান্তি, ঐক্য এবং একতাই উন্নয়নের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। কিছু মানুষ রাজনৈতিক খেলা খেলছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশ উত্তাল। সংসদও উত্তাল। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর খোদ অমিত শাহ স্বীকার করেছিলেন, নেতাদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য পরাজয়ের অন্যতম কারণ। সেই দিল্লির বুকেই ঘটে যায় ভয়াবহ হিংসা। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলতে বাধ্য হলেন, কিছু নেতা রাজনৈতিক খেলা খেলছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড ‘বিকাশের’ (উন্নয়ন) অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার, বিজেপি সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, দেশের বিকাশ দলের একমাত্র মন্ত্র। শান্তি, ঐক্য এবং একতাই উন্নয়নের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। কিছু মানুষ রাজনৈতিক খেলা খেলছে। এবং দলের জন্যই বাঁচে। মোদী এ দিন স্মরণ করিয়ে দেন, দেশের জন্য বাঁচা উচিত তাদের। উল্লেখ্য, ভারত সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। হিংসার আকার এতই ভয়াবহ নেয়, ৪৬ জনের ইতিমধ্যে প্রাণ গিয়েছে। জখম প্রায় ২০০।
আরও পড়ুন- দিল্লি হিংসায় পিস্তল উঁচিয়ে তাণ্ডব, বেরিলি থেকে গ্রেফতার শাহরুখ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিল্লির এই সাম্প্রদায়িক হিংসা আন্তর্জাতিক স্তরে ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। মুখে যাই বলুন না কেন, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখে গিয়েছে, সিএএ, এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে কীভাবে বিক্ষোভের আবহ তৈরি হয়েছে ভারতে। মোদীর ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাই বিদ্বেষমূলক স্লোগান দিচ্ছেন প্রকাশ্যে। শাহিনবাগকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বলে কটাক্ষ কিংবা ‘গোলি মারো’ স্লোগান পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এই পরিস্থির জন্য মোদীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। নাম না করে তিনি জানান, জাতীয়তাবাদ এবং ভারত মাতার জয় স্লোগানের অপব্যবহার করেছেন।