'অ্যাস্ট্রো ওপিডি'তে রোগী দেখবেন জ্যোতিষীরা, মধ্যপ্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত ঘিরে চাঞ্চল্য
ওয়েব ডেস্ক: পুরোহিতগিরির সরকারি কোর্সের পর দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে এবার আউট ডোর বা ওপিডিতে জ্যোতিষী তথা হস্তরেখাবিদদের 'রোগী দেখা'র ব্যবস্থা করে দিল মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং পাটিল সরকার। উদ্যোগটির পোশাকী নাম- 'অ্যাস্ট্রো ওপিডি' যা চালু হবে এই বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে। জন্মকুন্ডলী দেখে হাতের রেখার উপর আতস কাঁচ ধরে রোগীদের নানান ধরনের সমস্যার সমাধান দেবেন 'প্রতিষ্ঠিত জ্যোতিষী'রা। জ্যোতিষী ও হস্তরেখা বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি বাস্তু বিশেষজ্ঞরাও নিয়মিত উপস্থিত থাকবেন এই ওপিডিতে।
প্রতি সপ্তাহে দুইবার তিন-চার ঘন্টা করে রোগী দেখার আয়োজন করা হচ্ছে জ্যোতিষীদের জন্য। এছাড়াও সপ্তাহের ছুটির দিনও 'রোগীদের দরকারে' হাজির থাকতে পারেন তাঁরা, খবর এমনটাই। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই 'প্রয়োজনীয় পরিষেবা'র জন্য আম জনতাকে খরচ করতে হবে খুবই সামান্য, মাত্র ৫ টাকা। কিন্তু রাজ্য জুড়ে এই পরিষেবা দেওয়ার জন্য এত সংখ্যক জ্যোতিষী আসবেন কোথা থেকে? জানা গেছে, ভোপালের 'মহাঋষি পতঞ্জলী সংস্কৃত সংস্থানে'র তরফ থেকে প্রশিক্ষিত জ্যোতিষীদের পাঠানো হবে এখানে। নবীন ডাক্তাররা যেমন এই ধরনের ওপিডিতে অভিজ্ঞ চিকিত্সকদের থেকে শেখার সুযোগ পান, ঠিক তেমনই ভবিষ্যতে জ্যোতিষী বা বাস্তুবিদ হবে চায় এমন তরুণ প্রতিভাদেরও এইসব ওপিডিতে থেকে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীদের কাছ থেকে কাজ শেখার সুযোগ থাকবে বলে খবর।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পৌরহিত্যের ডিপ্লোমা কোর্স চালু করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসাবে এমন একটা কোর্স সরকারি উদ্যোগে শুরু করেছে শিবরাজ সিং সরকার। রাজ্যের যোগাভ্যাস ও সংস্কৃত শিক্ষার দায়িত্বে থাকা "মহাঋষি পতঞ্জলি সংস্কৃত সংস্থান"-এর উপরেই এই কোর্সটি পরিচালনার দায়িত্ব বর্তেছিল সেরাজ্যের গেরুয়া সরকার। আর এবার ওপিডিতে জ্যোতিষ শাস্ত্রের মাধ্যমে আরোগ্য দানের সিদ্ধান্ত।
তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এমন অগ্রগতির সময়ে এধরনের পদক্ষেপ নিয়ে এরমধ্যেই তীব্র সমালোচনা আসতে শুরু করেছে দেশের যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক মহল থেকে। কিন্তু রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, যে যাই বলুক এসব পদক্ষেপ বিজেপি শাসিত প্রশাসন থেকে প্রত্যাশিত। তাঁদের মতে গোটাটাই আসলে 'শিক্ষা ও স্বাস্থের গৈরিকিকরণ'। (আরও পড়ুন- পৌরহিত্যের ডিপ্লোমা কোর্স, দেশকে দিশা মধ্যপ্রদেশের)