পানামা পেপার পার্ট টু: আরও ১৪ ভারতীয়ের নাম ফাঁস
পানামা পেপারস পার্ট টু। বিদেশে গোপন সম্পত্তি রাখার তালিকায় উঠে এল আরও ১৪ জন ভারতীয়র নাম। তাদের মধ্যে রয়েছে এক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন, এক রাজনীতিক, এক শিল্পপতি এবং এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম। শুধু তাই নয়, যে এজেন্সি পানামায় এদের সংস্থা গড়তে সাহায্য করেছিল, দিল্লির তদন্তে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।
ওয়েব ডেস্ক : পানামা পেপারস পার্ট টু। বিদেশে গোপন সম্পত্তি রাখার তালিকায় উঠে এল আরও ১৪ জন ভারতীয়র নাম। তাদের মধ্যে রয়েছে এক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন, এক রাজনীতিক, এক শিল্পপতি এবং এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম। শুধু তাই নয়, যে এজেন্সি পানামায় এদের সংস্থা গড়তে সাহায্য করেছিল, দিল্লির তদন্তে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।
পানামা পেপারসের দ্বিতীয় তালিকায় নাম রয়েছে রাজনীতিক অনুরাগ কেজরিওয়াল, শিল্পপতি গৌতম ও করণ থাপার, ব্যবসায়ী রঞ্জীব দাহুজা ও কপিল সিন গোয়েল, রত্ন ব্যবসায়ী অশ্বিনী কুমার মেহরা, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক মালহোত্রা এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক বিনোদ রামচন্দ্র যাদবের। এই তালিকায় নাম রয়েছে IT কনসালট্যান্ট গৌতম সিঙ্ঘল, খাদ্য প্রস্তুতকারক বিবেক জৈন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী প্রভাস সাংখলা এবং পোশাক রপ্তানিকারক সতীশ গোবিন্দ সামতানি, বিশাল বাহাদুর ও হরিশ মোহনানিরও।
পানামা পেপার্সে নাম ফাঁসের ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্র। আরও জানিয়েছে, এর তদন্তে কর-বিশেষজ্ঞ, বিদেশে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা আর্থিক অপরাধ দমন সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন। প্রত্যেক অভিযুক্ত সম্পর্কে ধরে ধরে তথ্য যাচাই করা হবে। পানামার আইন অনেক ক্ষেত্রেই অধিকাংশ সংস্থার মালিকানা গোপন রাখতে সাহায্য করে। পানামা পেপার্স এই দিকটিতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কীভাবে বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিশালী কিছু মানুষ পানামার এই আইনকে কাজে লাগিয়ে কর ফাঁকির চেষ্টা করেছেন, সেটাই প্রকাশ করেছে পানামা পেপার্স। অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বর্য রাই ছাড়াও পানামা পেপার্সে নাম জড়িয়েছে ডিএলএফের কে পি সিং, শিল্পপতি সমীর গেহলট, শিল্পপতি গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি, বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া, আইনজীবী হরিশ সালভে, গ্যাংস্টার ইকবাল মির্চির।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, পানামা পেপার্সে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে তারাও। তবে বৈধভাবেও যে বিদেশি অ্যাকাউন্টে লগ্নি করা যায়, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন।