স্পেকট্রাম কাণ্ডে নাম জড়াল মনমোহনের

স্পেকট্রাম কাণ্ডে নাম জড়াল মনমোহনের নয়াদিল্লি,২৩ সেপ্টেম্বর: এবার স্পেকট্রাম দুর্নীতির কেন্দ্রে চলে এল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নাম! আর সেই সঙ্গে রক্তচাপ বাড়ল একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধ্বস্ত কংগ্রেস নেতৃত্বের। তথ্যের অধিকার আইনের কল্যাণে প্রকাশিত একটি সরকারি নথি জানাচ্ছে, ২০০৬ সালে

Updated By: Sep 26, 2011, 01:17 PM IST

স্পেকট্রাম কাণ্ডে নাম জড়াল মনমোহনের
নয়াদিল্লি,২৩ সেপ্টেম্বর: এবার স্পেকট্রাম দুর্নীতির কেন্দ্রে চলে এল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নাম! আর সেই সঙ্গে
রক্তচাপ বাড়ল একের পর এক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধ্বস্ত কংগ্রেস নেতৃত্বের।
তথ্যের অধিকার আইনের কল্যাণে প্রকাশিত একটি সরকারি নথি জানাচ্ছে, ২০০৬ সালে তত্‍কালীন টেলিকমমন্ত্রী দয়ানিধি মারানের
একটি চিঠির প্রেক্ষিতে স্পেকট্রাম বণ্টনের পদ্ধতি এবং মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার পুরোপুরি টেলিকম মন্ত্রকের হাতে ছেড়ে
দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। প্রথমে টু-জি বণ্টন প্রক্রিয়া তদারকির উদ্দেশ্যে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হলেও পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশে স্পেকট্রাম বিলির ভার পুরোপুরি মারানের কাঁধে অর্পিত হয়। মনমোহনের এই পদক্ষেপ ২০০৮ সালে স্পেকট্রাম বণ্টনের সময়
দয়ানিধি মারানের উত্তরসূরী আন্দিমুথু রাজার স্বেচ্ছাচারের পথ প্রশস্ত করেছিল বলেই বিরোধী শিবিরের অভিযোগ। আইনজীবী তথা
বিজেপির তথ্যের অধিকার আইন সংক্রান্ত সেলের প্রধান বিবেক গর্গের তরফে সংগ্রীহিত নথি জানাচ্ছে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি
তত্‍কালীন টেলিকমমন্ত্রী দয়ানিধি মারান ৭ রেসকোর্স রোডের বাসিন্দাকে টু-জি স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণ এবং পদ্ধতিগত খুঁটিনাটি
চূড়ান্ত করার ভার পুরোপুরি টেলিকম মন্ত্রকের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। আর এর পরই
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠীর ক্ষমতা খর্ব করার নির্দেশিকা জারি হয়। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে প্রথম ইউপিএ মন্ত্রিসভার
টেলিকমমন্ত্রী থাকাকালীন স্পেকট্রাম বণ্টনে অনিয়মে মদত দেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রীর পদ ছাড়তে
হয় মারানকে। ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধির প্রয়াত ভাগ্নে মুরাসলি মারানের কনিষ্ঠপুত্র দয়ানিধির বিরুদ্ধে টেলিকম সংস্থা এয়ারসেলের
মালিক সি শিবশঙ্করনের উপর চাপ সৃষ্টি করে মালয়েশিয়ার সংস্থা ম্যাক্সিস-কে অংশীদারিত্ব বিক্রিতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে।
ম্যাক্সিস-এর হাতে মালিকানা হস্তান্তরের পরই ১৩ টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের স্পেকট্রাম লাইসেন্স পেয়েছিল এয়ারসেল। আর এরপরই
মারানদের পারিবারিক কেবল টিভি নেটওয়ার্ক ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ লগ্নী করে ম্যাক্সিস গোষ্ঠী।

.