অশোক গাঙ্গুলিকে অপমান করতে মহিলা ইন্টার্নকে ব্যবহার করেছে মোহনবাগান! সুর্পিমকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
As the Central government on January 02 cleared the proposal for Presidential reference for ex-Supreme Court judge Asok Kumar Ganguly`s removal as head of WBHRC in connection with sexual harassment allegations made against him by a law intern, a public suit seeking to quash the complaint against the retired judge was filed in the apex court on Friday. An apex court bench headed by Chief Justice P Sathasivam said it would hear the plea on Monday after petitioner Padma Narayan Singh sought a direction to restrain the government from taking any action against Justice Ganguly.
সুপ্রিমকোর্টের অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র! পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকারক কমিশনের প্রধানের পদ থেকে অপসারণের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেতের পর, গাঙ্গুলিকে বাঁচাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। তাতে ফুটবল দল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচের বিবাদের প্রতিশোধ তুলতেই মোহনবাগান ষড়যন্ত্র করেছে। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এমনটাই জানানো হয়েছে। সোমবার বিচারপতি পি সত্যশিবম মামলাটি শুনবেন।
মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের একটি ম্যাচ বাতিল হওয়ার মোহনবাগানকে নির্বাসিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অশোক গাঙ্গুলি। তার প্রতিশোধ নিতেই ও অবসর প্রাপ্ত বিচারপতির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই মোহনবাগান ওই অভিযোগকারিনীকে ব্যবহার করেছে। যৌন হেনস্থার গোটা ঘটনাটি সাজানো বলে দাবি করা হয়েছে।
যদিও ওই ঘটনায় এআইএফএফ মোহনবাগানকে নির্বাসিত না করে ২ কোটি টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়। জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, "এটা বিচারপতি গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র। মোহন বাগান ওই মহিলা ইন্টার্নকে ব্যবহার করেছেন। মোহন বাগান কর্তা অঞ্জন মিত্র এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনের জন্য আবেদনও করেন।" এই মর্মে মনে করা যেতে পারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে অপমান করতেই এমনটা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। দাবি মামলাকারীদের।
ভাঙছেন অশোক, আইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্তফা প্রাক্তন বিচারপতির:
আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অশোক গাঙ্গুলি। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠায় অশোক গাঙ্গুলিকে অতিথি অধ্যাপকের পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ইস্তফা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
তাঁকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে আইনি প্রক্রিয়ায় সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। ফলে আরও বিপাকে অশোক গাঙ্গুলি। প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্সে আজ সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পরও কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন অশোক গাঙ্গুলি। জানিয়েছেন পদত্যাগের ব্যাপারে এখনও তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।