গণপিটুনির বিরোধিতা করে গোরক্ষায় সওয়াল ভাগবতের
গোরক্ষার নামে গণধোলাইয়ের ঘটনায় মুখ খুললেন মোহন ভাগবত। গণধোলাইয়ের বিরোধিতা করলেও গোরক্ষার সাফাই গেয়েছেন সরসঙ্ঘচালক। তাঁর মতে, গোরক্ষকদের নিয়ে কথা হলেও গো-পাচারকারীদের হিংসা নিয়ে নীরব অবস্থান নেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গোরক্ষার নামে গণধোলাইয়ের ঘটনায় মুখ খুললেন মোহন ভাগবত। গণধোলাইয়ের বিরোধিতা করলেও গোরক্ষার সাফাই গেয়েছেন সরসঙ্ঘচালক। তাঁর মতে, গোরক্ষকদের নিয়ে কথা হলেও গো-পাচারকারীদের হিংসা নিয়ে নীরব অবস্থান নেওয়া হয়।
এদিন মোহন ভাগবত বলেন, ''আইন হাতে তুলে নেওয়া ভুল ও অপরাধ। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু গরু শ্রদ্ধার বিষয়। গোরক্ষা হওয়াই উচিত। সংবিধানও এব্যাপারে মার্গদর্শকের ভূমিকা নিয়েছে, তা পালন করা দরকার''। একইসঙ্গে মোহন ভাগবত এও স্পষ্ট করেছেন, ''আইন করে গোরক্ষা সম্ভব নয়। গরু প্রতিপালন করতে হবে নাগরিকদের। গরুকে প্রকাশ্যে ছেড়ে দিলে উপদ্রব বাড়বে। তখন গোরক্ষার আস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে''।
ভাগবত আরও বলেন,''কীভাবে গরুকে প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে অনেকে কাজ করছেন। গোরক্ষা নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। গণপিটুনিতে যুক্ত নন। সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন তাঁরা''। গোরক্ষার সঙ্গে শুধু সঙ্ঘ যুক্ত নয়, এমনও দাবি করেছেন মোহন ভাগবত। সরসঙ্ঘচালকের কথায়,''গোরক্ষার কাজ করছেন গোটা জৈন সম্প্রদায়। গোশালা চালাচ্ছেন বহু মুসলিম। তাঁদের প্রশংসা করা দরকার''।
মুসলিমদের সঙ্গে নিয়ে চলাই হিন্দুত্ব বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছিলেন মোহন ভাগবত। এদিন তাঁর দাবি, ভারতে থাকা প্রতিটি ব্যক্তিই হিন্দু। তাঁর কথায়,''ভারতে যাঁরাই থাকেন, তাঁদের পরিচয় ও জাতিসত্তা হিন্দু''। ভিন জাতের বিবাহ নিয়েও মুখ খুলেছেন মোহন ভাগবত। তাঁর কথায়, গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি ভিনজাতের বিবাহ করেছেন স্বয়ংসেবকরাই।
আরও পড়ুন- তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে রাজনৈতিক ফুটবল হিসেবে ব্যবহার করছে মোদী সরকার: কংগ্রেস