সঙ্ঘ পরিবারের মুখে লাগাম পরাতে পদত্যাগের হুমকি মোদীর!
আরএসএস-কে লাগাম পড়াতে এবার পদত্যাগের হুমকি দিলেন নরেন্দ্র মোদী! গত কয়েকদিন ধরে ধর্মান্তরণ ইস্যুতে সঙ্ঘ পরিবার যত তাদের নাছোরবান্দা মনোভাব দেখিয়েছে, সংসদে তত বিপাকে পরেছে বিজেপি। গেরুয়া বাহিনীর জোর করে ধর্মান্তরণের তীব্র প্রতিবাদ করে বার বার সংসদ অচল করেছে বিরোধীরা। নিশানায় স্বভাবতই বিজেপি। আর এতেই নাকি বেজায় চটেছেন মোদী। বার বার বলা স্বত্বেও মুখে লাগাম পরতে নারাজ সঙ্ঘ নেতারা। সূত্রে খবর, সঙ্ঘনেতাদের মুখে লাগাম টানতেই নাকি পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন নমো।
ওয়েব ডেস্ক: আরএসএস-কে লাগাম পড়াতে এবার পদত্যাগের হুমকি দিলেন নরেন্দ্র মোদী! গত কয়েকদিন ধরে ধর্মান্তরণ ইস্যুতে সঙ্ঘ পরিবার যত তাদের নাছোরবান্দা মনোভাব দেখিয়েছে, সংসদে তত বিপাকে পরেছে বিজেপি। গেরুয়া বাহিনীর জোর করে ধর্মান্তরণের তীব্র প্রতিবাদ করে বার বার সংসদ অচল করেছে বিরোধীরা। নিশানায় স্বভাবতই বিজেপি। আর এতেই নাকি বেজায় চটেছেন মোদী। বার বার বলা স্বত্বেও মুখে লাগাম পরতে নারাজ সঙ্ঘ নেতারা। সূত্রে খবর, সঙ্ঘনেতাদের মুখে লাগাম টানতেই নাকি পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন নমো।
মারাঠি সংবাদপত্র মহারাষ্ট্র টাইমসে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে ''আরএসএস নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে এই বিশয়ে নিজের হতাশা জানিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে জানিয়েছেন সঙ্ঘ নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে যদি তাঁর সরকারের ইমেজে কালি পরে তাহলে পদত্যাগ করতেও তিনি পিছ পা হবেন না।''
এই খবরেই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হুমকিতে নাকি কিছুটা ব্যাকফুটে আরএসএস। যে সমস্ত নেতাদের মন্তব্যের জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের পদক্ষেপ গ্রহণে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার।
ক্ষমতায় আসার পর ভোট বাক্সের দিকে নজর দিয়ে উপর উপর নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে এখন বদ্ধপরিকর বিজেপি। 'আচ্ছে দিন'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লির মসনদ দখল করেছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। বিজেপি নেতাদের মতে আরএসএস-এর 'ধর্ম জাগরণ মঞ্চ'-এর 'ঘরে ফেরা'-র জিগিরে নষ্ট হচ্ছে সেই ভাবমূর্তি। সঙ্ঘ নেতাদের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপির গায়ে আবার এসে সাঁটছে হিন্দু ধর্মান্ধতার তকমা।
মোদীর হুমকিতে সঙ্ঘ পরিবারের মনোভাব যে নরম হয়েছে বিজেপির পদক্ষেপ দেখেই তা স্পষ্ট বলে দাবি করেছে ওই সংবাদপত্রটি। বিজেপির সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই রাজস্থানের ইউনিট প্রধান ও কোটার বিধায়ক প্রহ্লাদ গুঞ্জলকে এক চিফ মেডিক্যাল প হেলথ অফিসারকে লাগাতার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করেছেন।
তবে, যদি এই পদত্যাগের হুমকির কথা সত্যিও হয় তাও মোদীর এক নয়া গিমিক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নিজের পদে বসে মোদী এখন উন্নয়নের ইস্যু থেকে দেশবাসীর চোখ সরাতে নারাজ। নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেই তাই কি তিনি গেরুয়া বাহিনীকে ব্যাকস্টেজে খেলতে পাঠাতে চান? প্রশ্ন এখন এটাই।