সকালে মোদীর ফোন ধরেননি আডবাণী
এক মুঠো ধুল জমেছিল। পিতামহ ভীষ্মকে এড়িয়ে মোদীকে প্রাধান্য দেওয়ায় দলের অন্দরে জমেছিল ধূল। সেই ধূল যে নিমেছে ঝড় ডেকে আনবে তা হয়তো আন্দাজ করেননি বিজেপির রাজনীতিকে কাছ থেকে দেখা এমন কেউই। এককথায় বিজেপি রাজনীতি এখন মহাভারতের প্রেক্ষাপট।
এক মুঠো ধুল জমেছিল। পিতামহ ভীষ্মকে এড়িয়ে মোদীকে প্রাধান্য দেওয়ায় দলের অন্দরে জমেছিল ধূল। সেই ধূল যে নিমেছে ঝড় ডেকে আনবে তা হয়তো আন্দাজ করেননি বিজেপির রাজনীতিকে কাছ থেকে দেখা এমন কেউই। এককথায় বিজেপি রাজনীতি এখন মহাভারতের প্রেক্ষাপট।
সোমবার দুপুর, নয়া দিল্লি। আকাশ পরিষ্কার। গরম এ দিন একটু চড়া। ৪১ ডিগ্রি। কিন্তু দিল্লি রাজনৈতিক আকাশে হঠাৎই বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার। লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসছেন রাজনাথ সিং। হাতে একটা চিঠি। মুখ ভার। কুচকে যাওয়া ভ্রু দেখে বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে হাতের চিঠি দলে বর্জপাত ঘটাতে পারে। চিঠিটা আডবাণীর পদত্যাগ পত্র। চিঠিতে লৌহপুরুষের সাফ বয়ান, ``বর্তমানে পার্টি যে পথে চলেছে তা বিজেপির মূল আদর্শের পরিপন্থী।``
(আডবাণী চিঠি পড়তে ক্লিক করুন এখানে)
তার পরথেকেই চলছে মানভঞ্জনের পালা। বিজেপির তাবর নেতারা সকলেই একে কে ছুটেছেন আডবাণীর বাসভবনে।
নরেন্দ্র মোদী, ৬২ বছরে মুখ্যমন্ত্রী সন্ধেয় টুইট করেন, তাঁর সঙ্গে আডবাণীর ফোনে দীর্ঘ কথা হয়েছে। আডবাণীকে তাঁর রায় পরিবর্তন করার আর্জি জানিয়েছেন মোদী। অন্তত দলের সমর্থকদের কথা ভেবে আডবাণী দলে ফিরে আসা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। তবে আজ সকালে আবহাওয়াটা এমন ছিলে না। এক সময়ের গুরুদেবের সঙ্গে যোগাযোগ করাটাই কোঠিন হয়ে উঠেছিল মোদীর পক্ষে। সুত্রের খবর, সকালে বর্ষীয়াণ নেতা মোদীর ফোন ধরতে নারজ ছিলেন। দিল্লি রওনা হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দেন দামোদর দাস মোদী। বেশ টের পেয়েছেন এই সময় দিল্লিতে উপস্থিত থাকাটা খুব জরুরি। গুজরাতের নেতাদের কাছে বার্তা যায় দলের এই অস্থির অবস্থায় সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলার জন্য।
তবে মোদীপন্থীদের দাবি কোনও ভাবেই যেন পরিস্থিতির সঙ্গে আপোষ না করা হয়। আরএসএসও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোদীকে নির্বাচনী প্রচার সমিতির দায়িত্ব সিদ্ধান্তকে গতকালই স্বাগত জানিয়েছে সংঘ।