উচ্চশ্রেণির জন্য সংরক্ষণে সিলমোহর মোদীর মন্ত্রিসভার
সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় চমক দিল কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এবার উচ্চশ্রেণির মানুষকে সংরক্ষণের আওতায় আনতে চলেছে তাঁর সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: উনিশের নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু হলে প্রধানমন্ত্রী নিতিনই! জল্পনা উস্কে দিল শরিক শিবসেনা
মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত, উচ্চশ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। এই সংরক্ষণ পাবে উচ্চশ্রেণির মধ্যে আর্থিকভাবে যারা দুর্বল সেই অংশ। বার্ষিক রোজগার ৮ লক্ষ টাকার কম হলেই এই সংরক্ষণের আওতায় আসবেন উচ্চশ্রেণির মানুষ।
Sources: 10 percent reservation approved by Union Cabinet for upper castes. More details awaited pic.twitter.com/t0mlI73ymf
— ANI (@ANI) January 7, 2019
পাশাপাশি যাঁদের ৫ হেক্টরের কম জমি রয়েছে, তাঁরাও এই সংরক্ষণের আওতায় আসবেন। এছাড়া আরও বেশ কিছু শর্ত রাখা হচ্ছে ওই সংরক্ষণে। সেগুলি হল, বাড়ি ১০০০ স্কোয়ার ফিটের বেশি হলে চলবে না। পুরসভা এলাকায় বাড়ি থাকলে, তা ১০৯ গজ এলাকার চেয়ে কম হতে হবে। পুর এলাকার বাইরে যাঁরা থাকেন, তাঁদের বাসস্থানের আয়তন ২০৯ গজ এলাকার বেশি হওয়া যাবে না।
#UPDATE 10 percent reservation approved by Union Cabinet for economically weaker upper caste sections. Reservation approved in Govt jobs and education https://t.co/fu82M2xfoc
— ANI (@ANI) January 7, 2019
এই সিদ্ধান্ত বলবত্ করার জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। বদলাতে হবে সংবিধানের ১৫ নম্বর ধারা। দ্রুত সেই কাজ শেষ করা হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন: স্কুলের অনুষ্ঠান; রণবীর সিংয়ের সিম্বা-র গানে উদ্দাম নাচ সাংসদের, দেখুন ভিডিও
আগামিকাল, মঙ্গলবার সংসদে শেষ হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। এখন দেখার শেষদিনেই সংবিধান সংশোধন করে ওই বিল পেশ করা হয় কি না। নাকি বিলটি বাজেট অধিবেশনে পেশ করে সরকার।
তবে রাজনৈতিক মহলের মত, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপ মাস্টারস্ট্রোক। কারণ, এনডিএ-র দুই ক্ষুব্ধ শরিক নেতা লোকজনশক্তি পার্টির রামবিলাস পাসোয়ান ও আরপিআই-এর রামদাস আটাওয়ালে এই সংরক্ষণের দাবিতে দীর্ঘদিন সরব। সেই ক্ষোভ অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া গেল।
আরও পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গেও যোগ করতে হবে আধার, নতুন আইন আনছে কেন্দ্র
পাশাপাশি উচ্চবর্ণের একটা অংশের মানুষের সমর্থনও এই পদক্ষেপ থেকে বিজেপি আদায় করে নিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিরোধীরা এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তারা এই সিদ্ধান্তকে ভোটের আগে মোদী সরকারের চমক বলেই মনে করছে।