এখনও সংখ্যালঘু ক্ষোভে আক্রান্ত মোদীগড়

তেরো ডিসেম্বর গুজরাটের প্রথম দফার নির্বাচন।  নির্বাচনের ঠিক আগে কেমন আছেন গুজরাটের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়? উন্নয়নের সুফলই বা কতটা পেয়েছেন তাঁরা? সরকারের কাছে তাঁদের আশাই বা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে। গত দু'দশকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাল্লাই বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। গুজরাট থেকে রজতশুভ্র মুখোটির রিপোর্ট।

Updated By: Dec 8, 2012, 10:13 AM IST

তেরো ডিসেম্বর গুজরাটের প্রথম দফার নির্বাচন।  নির্বাচনের ঠিক আগে কেমন আছেন গুজরাটের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়? উন্নয়নের সুফলই বা কতটা পেয়েছেন তাঁরা? সরকারের কাছে তাঁদের আশাই বা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে। গত দু'দশকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাল্লাই বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। গুজরাট থেকে রজতশুভ্র মুখোটির রিপোর্ট।
২০০২ থেকে ২০১২। মাঝে কেটে গেছে দশটা বছর। তবুও গুজরাট হিংসার ক্ষত এখনও পুরোপুরি শুকোয়নি। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে দুটো নির্বাচন।  কেশুভাই পটেলের পর ক্ষমতায় এখন নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মোদী সরকারের আমলে কতটা উন্নয়ন হয়েছে সংখ্যালঘুদের? তের ডিসেম্বর গুজরাটে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে মোদী সরকারকে উন্নয়নের মার্কশিটে কতটা নম্বর দিচ্ছেন সংখ্যালঘুরা?
গুজরাটের মোট জনসংখ্যা প্রায় ছ'কোটি। এরমধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭০ লক্ষ। মোট জনসংখ্যার দশ থেকে এগারো শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ হলেও ভোটবাক্সে তার প্রভাব খুব একটা পড়েনি বিগত দুই নির্বাচনে।  দোরগোড়ায় আরও একটা নির্বাচন। মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের অভিযোগ রাজনৈতিক মেরুকরণের শিকার তাঁরা। গুজরাট নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ১৮২। এরমধ্যে এবার একটি আসনেও মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। পাশে দাঁড়ায়নি কংগ্রেসও। উন্নয়নের থেকে বঞ্চনাই বেশি বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গুজরাটের সংখ্যালঘুরা।
ধর্মীয় মেরুকরণের কারণে উন্নয়নও অনেকাংশেই বিত্তশালী মানুষদের ঘিরে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন গুজরাটের সংখ্যালঘুরা। প্রসঙ্গত, ১৩ তারিখের প্রথম পর্যায়ের ভোটে ৩০ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। কর্মসংস্থান থেকে শিক্ষা সর্বত্রই উঠে এসেছে সেই বঞ্চনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ।
গুজরাট হিংসার পর মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গেলেও  ক্ষত কিন্তু রয়েই গেছে।  অভিযোগ, মোদী সরকারের আমলে দোষীদের শাস্তিই হয়নি। রয়েছে ইনসাফের দাবি।

.