সারা দেহ ভেসে যাচ্ছে রক্তে! বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ
বাড়ির লোকজন একসময় খবর পান তাদের বাড়ির পেছনেই একটি শিশু পড়ে রয়েছে। রক্তাক্ত শিশুটিকে দেখে মা-বাবা গৌরীপুর থানায় খবর দেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিশু ও মহিলাদের উপরে নির্যাতনের ঘটনায় বারবার শিরোনামে এসেছে যোগীরাজ্য। রবিবার কনৌজে ১২ বছরের এক শিশুকে গলা কেটে খুন করার খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলায়। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন বিকেলে ওই শিশুটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় পয়সা জমানোর জন্য একটি ভাঁড় কিনবে বলে। কিন্তু সন্ধে পেরিয়ে যাওয়ার পরও শিশুটা না ফেরায় হুলস্থুল পড়ে যায় বাড়িতে। খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়ে শিশুটির বাবা-মা সহ অন্যান্য আত্মীয়রা।
আরও পড়ুন, PM Modi in Kargil: 'দীপাবলি হল সন্ত্রাস শেষের উত্সব', কারগিলে পাকিস্তানকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর
অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ির পেছন থেকে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়ির লোকজন একসময় খবর পান তাদের বাড়ির পেছনেই একটি শিশু পড়ে রয়েছে। রক্তাক্ত শিশুটিকে দেখে মা-বাবা গৌরীপুর থানায় খবর দেন। পুলিস সুপার মনোজ পাণ্ডে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে পরীক্ষা করে চিকিত্সকেরা তাকে কানপুরে পাঠিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই শিশুটিকে গণধর্ষণ করে সেখানেই ফেলে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়নি পুলিস।
এদিকে, ওই ঘটনায় একটি ভিডিয়ো সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বাড়ির পেছনে পড়ে রয়েছে শিশুটি। তার দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কিছু লোক তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি তুলছে। কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না। কনৌজের এসপি জানিয়েছেন, তদন্ত নেমে পুলিসের হাতে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি যুবকের সঙ্গে কথা বলছে ওই শিশুটি। ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। ওই রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে শিশুটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা।