জেনারেলদের সংরক্ষণ ইস্যুতে মোদী সরকারের পাশে মায়াবতী

সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্তের উপর সিলমোহর দেওয়া হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়।

Updated By: Jan 8, 2019, 01:16 PM IST
জেনারেলদের সংরক্ষণ ইস্যুতে মোদী সরকারের পাশে মায়াবতী

নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় রাজনীতিতে পরপর দু'টি বড় চমক। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশ্রেণির মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করেছে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। তিনি এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি এই সিদ্ধান্তকে তিনি পলিটিক্যাল স্টান্ট বলে উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন: ভোটের মুখে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ! লাভবান হবেন কারা?

সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্তের উপর সিলমোহর দেওয়া হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়।

কয়েকমাস পরেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের বাজারে ফায়দা লুটতেই মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু বহুজন সমাজ পার্টির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সোমবার। সেই প্রতিক্রিয়া মিলল মঙ্গলবার। আর তার জেরে বিরোধীদের মধ্যে ফাটল স্পষ্ট হল।

আরও পড়ুন: উচ্চশ্রেণির জন্য সংরক্ষণে সিলমোহর মোদীর মন্ত্রিসভার

এদিকে সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিল পাস করাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। মঙ্গলবারই ওই বিল পেশ করার কথা। বিল পেশ করার পর সংসদে বিরোধীদের ভূমিকা কী হবে, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও। তার আগেই মায়াবতী জানিয়ে দিলেন, এই বিল তাঁর দল সমর্থন করবে।

আরও পড়ুন: বিজেপির অনুষ্ঠানে লুচি-তরকারি-মিষ্টি আর মদের বোতল! বিপাকে যোগীর রাজ্য

প্রসঙ্গত, মায়াবতী মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু ওই দুই রাজ্যে লোকসভায় একা লড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন মায়াবতী। এই পরিস্থিতিতে তাঁর এই পদক্ষেপের অন্য তাত্পর্য রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

কারণ, মায়াবতী দলিত নেত্রী। তাঁকে দলিত সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য করা হয় জাতীয় রাজনীতিতে। তিনিও দলিত বিরোধী সমস্ত ইস্যুতে সরব হন। দলিতদের হয়ে গলা ফাটান। সেই নেত্রী উচ্চশ্রেণির জন্য সরকারি চাকরি ও পড়াশোনায় ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন, সেই বিষয়টিই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

.