Matsya Mataji Temple: ৩০০ বছরের পুরনো ভারতীয় মন্দির, দেবীরূপে পূজিত হয় তিমি
৩০০ বছর ধরে সংরক্ষিত রয়েছে অস্থি
নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দু ধর্মে ৩৩ কোটি দেব-দেবী। জগতের যা কিছু, তাকে বিভিন্ন রূপে আমরা পুজো করে থাকি। জানেন কি আমাদের দেশেই রয়েছে এমন একটা মন্দির যেখানে তিমিকে পুজো করা হয়।
মন্দিরটির নাম 'মৎস্য মাতাজি মন্দির' (Matsya Mataji Temple)। গুজরাটের ভালসাদের মাগদ ডুঙ্গরি গ্রামে অবস্থিত ওই মন্দিরের বয়স প্রায় তিনশো বছর। সেখানে দেবী রূপে পূজিত হয় তিমি। কথিত রয়েছে, ওই গ্রামে বাস করতেন প্রভু তান্ডেল নামে একজন। একদিন তিনি স্বপ্ন দেখেন, সমুদ্রের তীরে ভেসে এসেছে একটা বিশালাকার মাছ। সেটি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎই মাছটা দেবীর রূপ ধারণ করে।
স্বপ্ন দেখে পরের দিন গ্রামবাসীদের নিয়ে নদীর তীরে যান ওই ব্যক্তি। দেখেন সত্যিকারের একটা বিশালাকার প্রাণী মৃত অবস্থায় তীরে পড়ে রয়েছে। আগেই প্রভুর মুখে স্বপ্নের কথা শুনেছিলেন গ্রামবাসীরা। ওই ঘটনার পর তাঁরা মনে করেন দেবী তাঁদের গ্রামে এসেছেন। এরপর গ্রামের একটা জায়গায় মাছটার সৎকার করেন বাসিন্দারা। সেখানেই তৈরি হয় 'মৎস্য মাতাজি মন্দির' (Matsya Mataji Temple)। সেই থেকে গুজরাটের ভালসাদের মাগদ ডুঙ্গরি গ্রামে দেবী রূপে পূজিত হয় বিশালাকার মাছ বা তিমি। এখনও নাকি ওই মন্দিরে রক্ষিত রয়েছে ৩০০ বছর আগের ওই মাছটির অস্থি।
গ্রামের অনেকেই জানিয়েছেন, 'মৎস্য মাতাজি মন্দির' (Matsya Mataji Temple) তৈরিতে যাঁরা সামান্য সাহায্যও করেননি। তাঁদের পরিবারে নাকি কঠিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর তাঁরাও বাধ্য হয়ে দেবীর মন্দির নির্মাণে সাহায্য করেন। আজও সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে মৎস্য মাতাজির আশীর্বাদ নেন মৎস্যজীবীরা। প্রতিবছর নবরাত্রির অষ্টমীতে ওই মন্দিরে বিশাল পুজো হয়। যদিও তিমি মাছ নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণী। তাও গ্রামবাসীরা তিমিকেই, মাছ হিসেবে পুজো করেন।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: শীঘ্রই ন্যাসাল ভ্যাকসিন ও বিশ্বের প্রথম DNA করোনা টিকা আনছে ভারত
আরও পড়ুন: Good Governance Index: কেন্দ্রের প্রকাশিত সুশাসনের তালিকায় শীর্ষে গুজরাট, শেষে বাংলা