বুথ দখল কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মণিপুরে নিহত ৭

ভোট-হিংসার ঐতিহ্য অব্যাহত রইল মণিপুরে! শনিবার চান্দেল জেলার টিপাইমুখ বিধানসভা কেন্দ্রে বুথ দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হল নির্বাচনপর্ব। বুথ দখল রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক সিআরপিএফ জওয়ানের। ১ মহিলার পাশাপাশি এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ ভোটকর্মীও। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৭।

Updated By: Jan 28, 2012, 08:06 PM IST

ভোট-হিংসার ঐতিহ্য অব্যাহত রইল মণিপুরে! শনিবার চান্দেল জেলার সুগনু বিধানসভা কেন্দ্রে বুথ দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত হল নির্বাচনপর্ব। বুথ দখল রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক সিআরপিএফ জওয়ানের। ১ মহিলার পাশাপাশি এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ ভোটকর্মীও। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৭। গুরুতর আহতের সংখ্যা ৪। এদিনের হিংসার পিছনে নাগা জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে দাবি রাজ্য পুলিসের।
একদিকে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা। অন্যদিকে গণতন্ত্রের ময়দানে অর্থ এবং বাহুবলের যথেচ্ছ ব্যবহার। এই ত্র্যহস্পর্শ সামলে মণিপুরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট সম্পন্ন করানোটাই ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও হিংসার মধ্যেও মণিপুরে ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ। এদিন সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। বেলা ৩টে তে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোট পড়ে প্রায় ৮১ শতাংশ।
দেশের ছোট রাজ্যগুলির মধ্যে একটি মণিপুর। কিন্তু হলে কী হবে, ভোট করাতে নাভিশ্বাস উঠেছে নির্বাচন কমিশনের। বিধানসভার ৬০টি আসনের জন্য শনিবার এক পর্বে এখানে ভোট হল উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। কিন্তু তার প্রস্তুতি যে কোনও বড় রাজ্যের চেয়ে কোনও অংশে কম ছিল না। নিরাপত্তার জন্য সাড়ে ৩০০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয় প্রায় ৪২,০০০ নিরাপত্তারক্ষী। মণিপুরের জনসংখ্যা ২৭ লক্ষ। কিন্তু ভোটারের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ অর্থাত্‍‍ ১,৭৪,২০,০০ হাজার। তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই (প্রায় ৮,৯০,০০০) মহিলা।
রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি ইম্ফল উপত্যকাএবং ২০টি পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত। মূল লড়াই গত এক দশকের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং মণিপুর পিপলস পার্টি, জনতা দল (ইউনাইটেড), এনসিপি ও সিপিআইএম`কে নিয়ে গঠিত জোট পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ)-এর মধ্যে। ভোটের ময়দানে রয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, আরজেডি`র মতো দলগুলিও। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সেকুলার প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্ট-এর শরিক সিপিআই এবার একক শক্তিতে ভোটে লড়েছে। রজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ২৩৫৭, যার মধ্যে ৭০ শতাংশই ছিল অতি সংবেদনশীল। নিরুপদ্রব, স্বাভাবিক বুথের সংখ্যা মাত্রই ১৬০। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে বাছবিচার না করে, সব বুথেই ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

.