দিল্লিতে মোদী বিরোধী দলগুলির বৈঠকের ভরকেন্দ্রে মমতা

বৈঠকের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোলাকাত করে গেলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা অহমেদ পটেল।

Updated By: Dec 10, 2018, 11:56 PM IST
দিল্লিতে মোদী বিরোধী দলগুলির বৈঠকের ভরকেন্দ্রে মমতা

কমলিকা সেনগুপ্ত

পাঁচ রাজ্যের বুথফেরত সমীক্ষা বিজেপির পক্ষে ভাল সংকেত দেয়নি। তার আগের দিন অর্থাত্ সোমবার দিল্লিতে বৈঠকে বসলেন বিরোধী দলের নেতারা। গরহাজির রইল সপা-বসপা। আর এই বৈঠকে মধ্যমণি হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের বৈঠকের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোলাকাত করে গেলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা অহমেদ পটেল।

কেজরিওয়ালকে সঙ্গে নিয়েই বৈঠকে যোগ দিতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি আপের সঙ্গে কংগ্রেসের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয় বলে ঘোষণা করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই কেজরিওয়ালই দিদির সঙ্গে হাজির হলেন বিরোধীদের বৈঠকে।  বৈঠকে চন্দ্রবাবুর পাশের আসনে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার একটা আসন পরেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে ২০১৯ সালে বিজেপিকে রোখা নিয়ে সঙ্ঘবব্ধ লড়াই চালানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে কক্ষ সমণ্বয় নিয়েও কথা হয়েছে।   

এদিন বৈঠক চলাকালীনই আরবিআইয়ের গভর্নরের ইস্তফার খবর পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন,'এটা আগে কখনও ঘটেনি। একটা প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্য নষ্ট করা হচ্ছে। এটা আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক জরুরি অবস্থা'।  

নোটবন্দির পর থেকেই বিরোধী শক্তিকে এককাট্টা করতে তত্পর হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি জোট বাঁধতে কোনও ছুঁতমার্গ না রেখেই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান তিনি। এ বার বিজেপির বিরুদ্ধে জোট-হাওয়া ভীষণভাবে প্রকট। তাই লোহা গরম থাকতেই মোক্ষম আঘাতটা আনতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লোকসভার আগে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে কংগ্রেস জমি খুঁজে পেলেও, জাতীয় রাজনীতিতে বরাবরই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে মমতার দল। সে ক্ষেত্রে এই বৈঠকও কংগ্রেসের কাছে তাত্পর্যপূর্ণ। মমতাকে বাদ দিয়ে কংগ্রেস যে এগোতে চাইছে না, এর আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে স্পষ্ট। তিনি বলেছিলেন, বিজেপিকে উত্খাত করাই একমাত্র লক্ষ্য। যদি অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হন, তাতে তাঁর আপত্তি নেই। সূত্রের খবর, রাহুল-সনিয়াও উপস্থিত থাকবেন সোমবারের বৈঠকে। মেরুকরণের রাজনীতিতে রাজধানী যখন সরগরম, সে সময় বিরোধী হাওয়া ত্বরান্বিত করতে মমতাই একমাত্র অনুঘটকের কাজ করবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।   

আরও পড়ুন- জমি দেখা চূড়ান্ত, দমদমের কাছেই গড়ে উঠবে নতুন বিমানবন্দর?

.