টাইমের পর ব্লুমবার্গের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী
টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের পর এবার ব্লুমবার্গ মার্কেট ম্যাগাজিন। ফের উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। নিউ ইয়র্কের ফিনান্সিয়াল ম্যাগাজিনের অক্টোবর সংখ্যায় অর্থনীতির বিশ্বে প্রথম ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে জায়গা করে নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের পর এবার ব্লুমবার্গ মার্কেট ম্যাগাজিন। ফের উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। নিউ ইয়র্কের ফিনান্সিয়াল ম্যাগাজিনের অক্টোবর সংখ্যায় অর্থনীতির বিশ্বে প্রথম ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে জায়গা করে নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের কম্যুনিস্ট শাসনের অবসান ঘটানোর পাশাপাশি কেন্দ্রের মনমোহন সিং সরকারের আর্থিক নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রেও মমতা ব্যানার্জির সুপ্রতিষ্ঠিত মতামতের উল্লেখ করেছে এই ম্যাগাজিন। অর্থনীতির প্রভাবশালীদের তালিকায় ২১তম স্থানে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের মুখপাত্র সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ন এই খবরের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, "এটাই প্রমাণ করে সাধারণ মানুষের কথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি।"
এই তালিকায় তাঁর পাশাপাশি রয়েছেন মার্কিন ব্যাবসায়ী ওয়ারেন বাফেট, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জ্যুকরবার্গ, হ্যুন্ডাই সংস্থার চেয়ারম্যান চুং মং ক্যু, মার্কিন ফেডারাল রিজার্ভের চেয়ারম্যান বেন বেরনানকে, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি, বর্মার বিরোধী নেত্রী আই সাঙ স্যু কি প্রমুখ।
মমতা বন্দ্যোপাধায় ছাড়াও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন ভারতীয় বংশদ্ভূত আরও দুজন। প্রথমজন ডয়েচ ব্যাঙ্কের সহ প্রধান আধিকারিক অংশু জৈন। এবং দ্বিতীয়জন, প্রভাবশালী মার্কিন অ্যাটর্নি প্রীতি ভারারা।
প্রসঙ্গত, গতকালই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর কড়া সমালোচনা করে তাঁকে 'ট্র্যাজিক নায়ক' আখ্যা দেয় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। দীর্ঘদিন মার্কিনদের 'আই ক্যান্ডি' থাকার পর একের পর এক আর্থিক সংষ্কারের নীতি কার্যকরী করতে ব্যর্থ হওয়ায় আপাতত তাঁকে কঠিন সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে মার্কিন মুকুকে মমতা ব্যানার্জির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশও। টাইমের পর ব্লুমবার্গ মার্কেট ম্যাগাজিনের তালিকায় স্থান পাওয়া যথেষ্ট সম্মানীয় বলেও মনে করছেন তাঁরা।