উদ্ধার হলেও মৃত্যুর কাছে হার মানল মাহি

শেষরক্ষা হল না। বাঁচানো গেল না মাহিকে। ৮৬ ঘণ্টার লড়াই শেষে উদ্ধার করা গেলেও জীবনযুদ্ধে হেরে গেল ছোট্ট মাহি। রবিবার বেলা ২ টো নাগাদ তাকে বাইরে বের করে আনেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। উদ্ধারের পরই মাহিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।

Updated By: Jun 24, 2012, 03:01 PM IST

শেষরক্ষা হল না। বাঁচানো গেল না মাহিকে। ৮৬ ঘণ্টার লড়াই শেষে উদ্ধার করা গেলেও জীবনযুদ্ধে হেরে গেল ছোট্ট মাহি। রবিবার বেলা ২ টো নাগাদ তাকে বাইরে বের করে আনেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। উদ্ধারের পরই মাহিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
গত বুধবার জন্মদিনের আসর শেষে খেলা করতে করতে বাড়ির সামনে ৭০ ফুট গভীর বোরওয়েলে পড়ে যায় বছর চারেকের মাহি। তারপর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারের কাজ। সেনাবাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারের কাজে নামে গুড়গাঁও র‍্যাপিড মেট্রো রেলও। পরে উদ্ধারের কাজে এগিয়ে আসে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনও। যে গর্তে মাহি পড়ে গিয়েছিল, তারই সমান্তরাল আরও একটি গর্ত খোঁড়া হয়। উদ্ধারকারীরা প্রথমে দাবি করেন, মাটি কঠিন ও পাথুরে হওয়ায় গর্ত খুঁড়তে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, সব বাধা পেরিয়ে ৮৬ ঘণ্টা পর রবিবার দুপুরে মাহির কাছে পৌঁছে যান দুই সেনা জওয়ান। গর্ত থেকে বের করে আনার পরই তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয় মাহিকে। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুর কাছে হেরে মেনেছে শিশুটি।
২০০৬ সাল থেকে গত ৬ বছরে অন্তত ৪ বার এই রকম ঘটনা ঘটেছে। খেলা করতে করতে পা পিছলে গভীর গর্তে পড়ে গেছে শিশুগুলি। কখনও তাদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কখনও গহ্বরের অন্ধকারেই মারা গেছে শিশুরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি বেআইনি ভাবে গর্ত খুঁড়ে রাখা। এবারও বেআইনি ভাবে খুঁড়ে রাখা নলকূপের গর্তের মধ্যেই পড়ে যায় মাহি। ইতিমধ্যেই ঘটনা নিয়ে হরিয়ানা সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন বা এনসিপিসিআর। বেআইনি ভাবে গর্ত খোঁড়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা রোতাশ তায়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানান হয়েছে। বোরওয়েল খোঁড়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা কোনওভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা, সেই ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।

.