Maharashtra Political Crisis: উদ্ধবের সঙ্গে সন্ধ্যায় বৈঠক এনসিপি নেতাদের, জানিয়ে দিলেন অজিত পাওয়ার
এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, এনসিপি নেতারা সন্ধ্যা ৬.৩০টায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি এও জানিয়েছেন তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রে ঘোর সঙ্কটে জোট সরকার। যত সময় যাচ্ছে, ততই অঙ্কের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক একনাথ শিণ্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন শিবসেনার ৪০ জন বিধায়ক ও ১২ জন নির্দল বিধায়ক। অর্থাত্, একনাথ শিণ্ডের দাবি মতো এখন বিক্ষুব্ধ শিবিরে রয়েছেন ৫২ জন বিধায়ক। যদিও এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) জানিয়েছেন, এনসিপি নেতারা সন্ধ্যা ৬.৩০টায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি এও জানিয়েছেন তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
অজিত পাওয়ার এও বলেন, তার দলের সদস্যরা একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে আজ সন্ধ্যায় উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করবেন। এনসিপি নেতার কথায়, "আমরা ক্ষমতায় আছি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। আমরা সরকার রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।তারা (একনাথ শিন্ডের দল) বলে যে তারা শিবসেনা। তাই শিবসেনা+এনসিপি+কংগ্রেস একসঙ্গে। অর্থাৎ আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।"
এদিকে এদিন একনাথ শিণ্ডেকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। বালাসাহেব পুত্র বলেন, ‘যাঁরা বলতেন, মরে গেলেও শিবসেনা ছাড়বেন না, তাঁরাই পালিয়েছেন। বিদ্রোহী বিধায়করা শিবসেনা ভাঙার চেষ্টা করছেন। শিবসেনা ও বাল ঠাকরের নাম ব্যবহার না করে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করে দেখান। আমার কাছে থাকা দুটি বিভাগ একনাথ শিণ্ডেকে দিয়েছিলাম’।
বাবার সুরেই কথা বলেছেন শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে। তিনি বলেন, ‘আগেও অনেকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, কিন্তু ঘরের লোক এমনটা করবে ভাবিনি।' এদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের বৈঠকে মন্তব্য উদ্ধব-পুত্র বলেন, ‘ক্ষমতা আসবে-যাবে, তবে মহারাষ্ট্রের মানুষ উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেই আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়ার সময় অনেকের চোখে জল দেখেছি। আমার মা বলেন, এনসিপি-কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতকতা করলে তাও মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু যাঁদের এতদিন ধরে লালন-পালন করেছে দল, তাঁরাই বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। যাঁরা দল ছেড়ে যেতে চাইছেন, তাঁরা কিছুদিনের জন্য হয়তো অনেক কিছু পাবেন। কিন্তু, স্বার্থ শেষ হলে তারা যে ছুড়ে ফেলে দেবে না, তার কী গ্যারান্টি? মনে হচ্ছে যেন যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা প্রাইস ট্যাগ লাগিয়ে গিয়েছেন’।