আরও চড়ছে এলপিজির দাম
ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পর এলপিজির আরও একদফা দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সিলিন্ডারে দাম বাড়ছে অতিরিক্ত ১২৩ টাকা।
ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পর এলপিজির আরও একদফা দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সিলিন্ডারে দাম বাড়ছে অতিরিক্ত ১২৩ টাকা। ফলে সপ্তম সিলিন্ডার থেকে গৃহস্থকে গুণতে হবে সিলিন্ডারপিছু ৯১৩ টাকা। ইতিমধ্যে এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে কেন্দ্র। কয়েকদিন আগেই সরকারি ঘোষণায় এই দাম ছিল ৭৯০টাকা।
ফের কেন এই দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত? রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির দাবি, দেশে ৩০ শতাংশ এলপিজি আমদানি করা হয়। এই আমদানি মূল্যের ওপরেই নির্ভর করে এলপিজির ভিত্তিমূল্য। তেল সংস্থাগুলির দাবি গত অগাস্ট মাসে আরব গাল্ফ এলপিজির মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৭ ডলার। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৩ ডলারে। একমাসে টনপ্রতি আরব গাল্ফ এলপিজির দাম বেড়েছে ১৬৬ ডলার। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে টাকার মূল্য কম হওয়াতেও এলপিজি আমদানিতে বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। সেকারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে এলপিজির ভিত্তিমূল্যও ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সিলিন্ডারপ্রতি কীভাবে দাম বাড়ছে এলপিজির
সিলিন্ডার প্রতি এলপিজির মূল্য ৪০১ টাকা। কেন্দ্র ভর্তুকি দেয় ৩৬৮ টাকা। সিলিন্ডার প্রতি দাম দাঁড়ায় ৭৬৯ টাকায়। এরপর পরিবহণ খরচ প্রায় ৩৮ টাকা। তেল সংস্থাগুলির বিপনন খরচ সিলিন্ডারপিছু প্রায় ৭ টাকা। বটলিংয়ের খরচ সিলিন্ডারপ্রতি ৩৮ টাকা ৬৮ পয়সা। সবমিলিয়ে এক্সাইজ ডিউটি, ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন যুক্ত করে সিলিন্ডার পিছু কলকাতায় দাম দাঁড়াচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।
আমদানি করা এলপিজির দাম প্রতিমাসেই নতুন করে নির্দিষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে আরব গাল্ফ এলপিজির দাম কমা ও বাড়ার ওপরে এলপিজির দাম কমবে বা বাড়বে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । এছাড়াও ৭০ শতাংশ দেশীয় উত্পাদনের ওপর ভিত্তিমূল্য নির্ধারিত না করে কেন ৩০ শতাংশ আমদানি এলপিজির ওপর ভিত্তিমূল্য নির্ধারিত হচ্ছে প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।