লোকায়ুক্ত মামলা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকার
গুজরাতের লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাল নরেন্দ্র মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার গুজরাত সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে দায়ের করা এক হলফনামায় বলা হয়েছে, যে ভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে কোনওরকম পরামর্শ না করে রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) আর এ মেহতাকে লোকায়ুক্ত পদে নিয়োগ করেছিলেন, তা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর এক বড় আঘাত।
গুজরাতের লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার গুজরাত সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে দায়ের করা এক হলফনামায় বলা হয়েছে, যে ভাবে রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে কোনওরকম পরামর্শ না করে রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) আর এ মেহতাকে লোকায়ুক্ত পদে নিয়োগ করেছিলেন, তা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর এক বড় আঘাত।
মুখ্যমন্ত্রী মোদীর আপত্তি সত্ত্বেও গুজরাতের রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর এ মেহতাকে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। অক্টোবর মাসে বিচারপতি কুরেশি ও বিচারপতি গোকানিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ দু`ধরনের মত জানানোর পর মামলাটি তৃতীয় বিচারপতি ভি এম সহায়-এর বেঞ্চে পাঠানো হয়।
বুধবার বিচারপতি সহায় সরাসরি রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ করে দেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, লোকায়ুক্ত পদে আর এ মেহতার নিযুক্তি আটকাতে চেয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ করেছেন, তা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং গণতন্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উপর আঘাত। মুখ্যমন্ত্রী মোদীর কার্যকলাপই রাজ্যপালকে সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারায় নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বাধ্য করেছে বলেও রায় দেয় গুজরাত হাইকোর্ট।
চলতি বছরের শেষেই গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট বিপাকে পড়েছেন মোদী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস `ছোটে সর্দার`-এর বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের অভিযোগ এনে ময়াদানে নেমেছে। বিধানসভা ভোটের আগে মুখরক্ষার কৌশল হিসেবেই নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী লোকায়ুক্ত বিতর্ককে শীর্ষ আদালতের আঙিনায় টেনে নিয়ে গেলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।