রাত পোহালেই শুরু লোকসভা নির্বাচন, কাল অসম-ত্রিপুরায় ভোট
রাত পোহালেই প্রথমদফার লোকসভা নির্বাচন। প্রথমদফায় ভোটগ্রহণ অসমের পাঁচটি ও ত্রিপুরার একটি লোকসভা কেন্দ্রে। এবারই প্রথম সারাদেশে ভোট হচ্ছে নয় দফায়। সাধারণ নির্বাচনে একদিনে মাত্র ছটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আগে কখনও হয়নি।
রাত পোহালেই প্রথমদফার লোকসভা নির্বাচন। প্রথমদফায় ভোটগ্রহণ অসমের পাঁচটি ও ত্রিপুরার একটি লোকসভা কেন্দ্রে। এবারই প্রথম সারাদেশে ভোট হচ্ছে নয় দফায়। সাধারণ নির্বাচনে একদিনে মাত্র ছটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আগে কখনও হয়নি।
নরেন্দ্র মোদী না রাহুল গান্ধী। আগামি পাঁচ বছর কার দখলে থাকবে দিল্লি? লাখ টাকার প্রশ্নের উত্তর সোমবার বাক্সবন্দি করবেন দেশের উত্তর-পূর্বের মানুষ। প্রথম দফা নির্বাচনে সোমবার ভোট অসমের পাঁচটি ও ত্রিপুরার একটি লোকসভা কেন্দ্রে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে ইতিমধ্যেই শেষ প্রচার।
একনজরে দেখা নেওয়া অসমের ভোটচিত্র--
সোমবার ভোটগ্রহণ অসমের তেজপুর, কালিয়াবোর,জোড়হাট, ডিব্রুগড় ও লখিমপুরে
৫ কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫১
মোট ভোটার সংখ্যা ৬৪,৪১,৬৩৪
মহিলা ভোটার ৩১,২০,০৬৭
মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৮,৫৮৮
এবার ভোট বয়কটের ডাক দেয়নি কোনও জঙ্গি সংগঠন। কিন্তু, সোমবার আলফার প্রতিষ্ঠা দিবস হওয়ায় কোনওরকম ঝুঁকি নিয়ে চাইছে না প্রশাসন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে । ইতিমধ্যেই রাজ্যে পৌছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে ২৪০ কোম্পানি অসম পুলিস ও। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে সোমবার ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা লটারি ব্যারন মনি কুমার সুব্বা, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈর ছেলে গৌরব গগৈ,বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ বিজয়কৃষ্ণ হান্ডিক, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সর্বানন্দ সনোওয়ালের। নির্দল হিসাবে এবারে ভোটের ময়দানে নেমেছেন আলফা কমান্ডার হীরা সারানিয়াও। জম্মু-কাশ্মীরের পর এই প্রথমবার সবকটি পোলিং বুথে ধূমপান নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
অসমের পাশাপাশি, সোমবার ভোটগ্রহণ ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রে।
পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে মোট ভোটার বারো লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার ৭৯৪ জন। পুরুষ ভোটার-ছ লক্ষ চৌত্রিশ হাজার সাতশো দু জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৬ লক্ষ ১২ হাজার ৯২। ভোটগ্রহণ হবে মোট ১৬০৫টি কেন্দ্রে । অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রের সংখ্যা ২। স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৪৪৭ । ৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট নেবেন মহিলা কর্মীরা।
এই আসনে লড়াই মূলত সিপিআইএম ও কংগ্রেসের মধ্যে। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে বিজেপিও। অন্যদিকে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে ত্রিপুরা প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস গঠন করেছেন সুবল ভৌমিক । প্রথমে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ঘোষণা করেও পরে তা ভেস্তে যায়। ফলে এককভাবেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ত্রিপুরা প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই রাজ্য পুলিস ছাড়াও মোতায়েন থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও।