Lok Sabha Passes Nyaya Sanhita: বিরোধীশূন্য লোকসভায় কেন্দ্র পাশ করাল নতুন ফৌজদারি আইন 'ন্যায় সংহিতা'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে নতুন ফৌজদারি আইন বিল ‘সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’। ৯৭ জন সাংসদের অনুপস্থিতিতে বিতর্কিত বিলটি নিম্নকক্ষে পাস হয়েছে। বিলগুলি সংসদের বাদল অধিবেশনের সময় উত্থাপন করা হলেও কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকসভায় বুধবার তিনটি সংশোধিত ফৌজদারি আইন বিল পাস হয়েছে। এগুলি হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, যা ভারতীয় দণ্ডবিধির জায়গায় লাগু হওয়ার প্রস্তাব করেছে। ফৌজদারি কার্যবিধির জায়গায় লাগু হওয়ার জন্য ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা আসবে ভারতীয় প্রমাণ আইনের জায়গায়।
এই সপ্তাহে বরখাস্ত হওয়া ৯৭ জন সাংসদের অনুপস্থিতিতে বিতর্কিত বিলটি নিম্নকক্ষে পাস হয়েছে।
লোকসভায় বিলগুলি পেশ করার সময়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে বিদ্যমান ফৌজদারি আইনগুলি ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন এবং এগুলির অভিপ্রায় ন্যায়বিচারের থেকেও বেশি শাস্তি দেওয়া।
অমিত শাহ বলেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধির উদ্দেশ্য ছিল শাস্তি দেওয়া, ন্যায়বিচার নয়; সেই জায়গায়, হাউসে পাস হওয়ার পরে দেশে কার্যকর হবে ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতা ২০২৩’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ করেছেন যে নতুন ফৌজদারি আইন বিল ‘সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'রাহুল গান্ধী ভিডিয়ো না করলে তো আপনারা জানতেই পারতেন না'!
লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হওয়ার আগে শাহ বলেছিলেন, ‘তিনটি নতুন বিল ভারতীয় চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে একটি বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়... তিনটি প্রস্তাবিত ফৌজদারি আইন মানুষকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা এবং এর প্রতীকগুলি থেকে মুক্ত করবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘গরিবদের জন্য, বিচার পাওয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল আর্থিক চ্যালেঞ্জ... বছরের পর বছর 'তারিখ পে তারিখ' চলতেই থাকে। পুলিস বিচার ব্যবস্থাকে দায়ী করে। সরকার পুলিস ও বিচার বিভাগকে দায়ী করে। পুলিস ও বিচার বিভাগ বিলম্বের জন্য সরকারকে দায়ী করে। এখন আমরা নতুন আইনে অনেক কিছুই পরিষ্কার করেছি’।
তিনটি প্রস্তাবিত আইন রাষ্ট্রদ্রোহকে অপরাধ হিসাবে বাতিল করে এবং ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ’ নামে একটি নতুন ধারা চালু করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাউসকে এই কথা বলেছেন। এছাড়াও, এখানে সন্ত্রাসবাদের একটি ‘স্পষ্ট সংজ্ঞা’ রয়েছে বলে তিনি যোগ করেছেন। এই বিলে মব লিঞ্চিং-এর শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড-ও বলা হয়েছে।
বিলগুলি প্রথমে সংসদের বাদল অধিবেশনের সময় লোকসভায় উত্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। অমিত শাহ গত সপ্তাহে লোকসভায় সংশোধিত বিলগুলি পুনরায় উপস্থাপন করেছিলেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)