আফজলের দেহ হস্তান্তর: লোকসভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত
আফজল গুরুর পরিবারের দাবি দেহ হস্তান্তরের। কিন্তু তাঁদের সেই পরিবারের দাবিকে খুব একটা আমল দিতে রাজি নয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মতে, শীঘ্রই এই প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে জম্মু কাশ্মীর সরকারকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতায় আফজলের স্ত্রীর বারামুলার ডেপুটি কমিশনরকে পাঠানো চিঠিতে সংসদ ভবন হামলার চক্রীর দেহ হস্তান্তের দাবি জানানো হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানান, আফজলের দেহ হস্তান্তরের পার্লামেন্টে আলোচনার পর নেওয়া হবে।
আফজল গুরুর পরিবারের দাবি দেহ হস্তান্তর নিয়ে দিনভর জল্পনা চলল। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল আফজলের পরিবারকে দেহ ফেরত দেওয়া হবে না এমন সিদ্ধান্ত আজই জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানান আফদল গুরুর দেহ হস্তান্তরের বিষয়ে লোকসভায় আলোচনা করা হবে। লোকসভায় আলোচনার পরই ঠিক হবে আফজল গুরুর দেহ পরিবারকে ফেরত দেওয়া হবে কিনা। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, আফজল গুরুর দেহ হস্তান্তেরর বিষয়টি এতটাই স্পর্শকাতর যে সরকার নিজের ঘাড়ে সব দায় নিতে চায় না। তাই লোকসভায় আলোচনার পরই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতায় আফজলের স্ত্রীর বারামুলার ডেপুটি কমিশনরকে পাঠানো চিঠিতে সংসদ ভবন হামলার চক্রীর দেহ হস্তান্তের দাবি জানানো হয়। ১৯৮৪ সালে তিহার জেলে ফাঁসি হওয়া কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মকবুল বাটের মৃতদেহ যেমন তার পরিবারকে দেওয়া হয়নি, তেমনই আফজল গুরুর মৃতদেহও তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। সূত্রের খবর, ২০০১-এর সংসদ চত্বরে জঙ্গি হানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হওয়া আফজলের মৃতদেহ ফেরত চেয়ে তার স্ত্রী তবাসসুমের আবেদনটি সরকার নাকচই করতে চলেছে।