সরকারের দাবি স্বপ্নের বাজেট, বিরোধীরা বলল দিশাহীন
আর্থিক সংস্কারে কোনও বড় পদক্ষেপ নয়। বরং বাজেটে গ্রামোন্নয়ন ও কৃষিখাতেই জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আয়করের ঊর্ধ্বসীমা একদিকে যেমন অপরিবর্তিত রয়েছে। তেমনই মধ্যবিত্তদের জন্য রয়েছে বেশকিছু ক্ষেত্রে করছাড়ের স্বস্তিও। পরিষেবা কর বাড়ানোয় অবশ্য বাড়ছে রেস্তারাঁর খরচা। সবমিলিয়ে বাজেটকে অবশ্য “ফুল মার্কস”-ই দিয়েছেন জেটলির ছেলে ও মেয়ে। অন্যরা কে কী বললেন? দেখে নেব এক নজরে-
ওয়েব ডেস্ক : আর্থিক সংস্কারে কোনও বড় পদক্ষেপ নয়। বরং বাজেটে গ্রামোন্নয়ন ও কৃষিখাতেই জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আয়করের ঊর্ধ্বসীমা একদিকে যেমন অপরিবর্তিত রয়েছে। তেমনই মধ্যবিত্তদের জন্য রয়েছে বেশকিছু ক্ষেত্রে করছাড়ের স্বস্তিও। পরিষেবা কর বাড়ানোয় অবশ্য বাড়ছে রেস্তারাঁর খরচা। সবমিলিয়ে বাজেটকে অবশ্য “ফুল মার্কস”-ই দিয়েছেন জেটলির ছেলে ও মেয়ে। অন্যরা কে কী বললেন? দেখে নেব এক নজরে-
নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রী- সাধারণের স্বপ্নের বাজেট। কর প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করা হয়েছে। যাতে উপকৃত হবেন আপামর দেশবাসী। কৃষি ও গ্রামোন্নয়নে জোর। ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের দ্বিগুণ আয়ের লক্ষ্য নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। শিক্ষার মানোন্নয়েনর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামোতে জোর। গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া সরকারের লক্ষ্য।
অমিত মিত্র, রাজ্য অর্থমন্ত্রী- কেন্দ্রীয় বাজেট দিশাহীন। পশ্চিমবঙ্গের জন্য কিছুই নেই।
অমিত শাহ, BJP সর্বভারতীয় সভাপতি – বাজেটে নজর রয়েছে সব ক্ষেত্রেই। এজন্য জেটলির প্রশংসা প্রাপ্য।
মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভা বিরোধী দলনেতা- এই বাজেট সুবিধাবাদী বাজেট। কর্পোরেটদের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।
এল কে আডবাণী, BJP নেতা- খুব ভালো বাজেট। বাজেটে কৃষিতে জোর। খুব ভালো পদক্ষেপ। দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে এই বাজেট।
মনমোহন সিং, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী- বাজেটে কোনও দিশা নেই। নতুন কিছুই নেই এই বাজেটে।
বেঙ্কাইয়া নাইডু, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী- প্রধানমন্ত্রী যে পরিবর্তনের দিশা দেখিয়েছেন, তারই ছাপ রয়েছে এবারের সাধারণ বাজেটে।
নীতিন গড়করি- ইতিহাসে প্রথমবার সড়ক উন্নয়নে বরাদ্দ ১ লাখ কোটি।
শশী থারুর, কংগ্রেস নেতা – UPA আমলে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তার থেকে দিশা নিয়েই বাজেট তৈরি হয়েছে।
যশবন্ত সিনহা, বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী- বড়লোক থেকে নিয়ে গরিবদের দেওয়া ব্যবস্থা।
দিনেশ ত্রিবেদী, তৃণমূল নেতা- বাজেট সংগঠিত নয়। নতুন কোনও দিশা নেই। এই বাজেটে দেশের কোনও উন্নয়ন হবে না।
বাবুল সুপ্রিয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী - এই বাজেটের ফলে দিশা স্পষ্ট করে দিল BJP সরকার।
ডি রাজা, CPI নেতা- কর্পোরেটদের স্বার্থরক্ষাকারী বাজেট।
মণীশ তিওয়ারি, কংগ্রেস নেতা- দিশাহীন বাজেট।
কমলনাথ,কংগ্রেস নেতা - বাজেট যথেষ্ট পরিষ্কার নয়। কর্মসংস্থান নিয়ে কোনও স্পষ্ট বক্তব্য নেই।
লালু প্রসাদ যাদব, RJD নেতা- ২০২২ অনেক দূরে। ২০১৯-এই সরকার পড়বে।