বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে আমন্ত্রণ পেলেন না লৌহপুরুষ
দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কার্যত উপেক্ষিত বিজেপির লৌহপুরুষ। আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণই পেলেন না অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণী। শুধুমাত্র একটি এসএমএসে দায় সেরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু কেন?
পদ্ম-নেতাদের মুখে কুলুপ। বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসেই রবাহুত লৌহপুরুষ। দলে প্রবীণতন্ত্র অবসানের ছায়া আরও দীর্ঘ হল। মিসড কলের মাধ্যমে সদস্য বাড়ানোর নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ছিলেন তাবড় নেতারা। একমাত্র ব্যতিক্রম লালকৃষ্ণ আডবাণী। জনতা পার্টি ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল গঠিত হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। অর্থাত্ সাবেক জনসঙ্ঘীরা নতুন নামে জোটবদ্ধ হন। সেই উপলক্ষে সোমবার দিল্লিতে দলের প্রধান কার্যালয়ে ছিল ৩৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান। সেখানেই ডাক পাননি আডবাণী। আডবাণী তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, দলের তরফে কোনও আমন্ত্রণপত্র পাননি তিনি। পেয়েছেন মাত্র একটি মেসেজ। দলীয় সূত্রে খবর, সাদামাঠা ওই মেসেজ দলের সব কর্মীকেই পাঠানো হয়েছে। আডবাণীর মতো নেতাকে কি এভাবে আমন্ত্রণ জানানো যায়? সরাসরি মুখ খোলেননি বিজেপির কোনও নেতাই। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তরের শুরুটা সম্ভবত অনেক আগেই। ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদী যখন দলের মধ্যে কার্যত ব্রাত্যই করে দেন লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। সমস্ত কমিটি থেকে সরিয়ে শুধুমাত্র পথপ্রদর্শক কমিটিতে রাখা হয় বর্ষীয়ান এই নেতাকে।
এমন একটি কমিটি, এখনও পর্যন্ত যার কোনও বৈঠকই হল না। গুরুত্বহীন এই কমিটিতে স্থান পেয়ে ভবিষ্যতের দেওয়াল লিখনটা ভালই পড়ে ফেলেছিলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যার বহিঃপ্রকাশটা দেখা গিয়েছিল বেঙ্গালুরুতে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে। সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের অনুরোধ সত্ত্বেও বক্তব্য রাখেননি লালকৃষ্ণ আডবাণী। পঁয়ত্রিশ বছরের প্রথা ভেঙে বক্তব্য রাখতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। এদিনের ঘটনার পর রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, তাহলে কি এবার রাজনৈতিক সন্ন্যাসের পথেই পা বাড়াতে বাধ্য হবেন পোড় খাওয়া এই পদ্ম-সেনানী?