গঙ্গার ওপরে ব্রিজ তৈরি করছিল ২ চিনা কোম্পানি, ২,৯০০ কোটির সেই প্রকল্প বাতিল করল কেন্দ্র
গঙ্গার ওপরে মহাত্মা গান্ধী সেতুর সমান্তরাল ওই ব্রিজটি তৈরি হচ্ছিল। এটি তৈরি হয়ে গেল উপকৃত হতেন পাটনা, বৈশালী ও সারান জেলার মানুষজন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সীমান্তের পাশাপাশি দেশের ভেতরেও চিনকে আঘাত হানা শুরু করে দিল কেন্দ্র। অর্থনৈতিকভাবে চিনকে কোণঠাসা করতে চিনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠছে দেশে। এরকম এক পরিস্থিতিতে বিহারে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্যে টেন্ডার বাতিল করল কেন্দ্র। ওই নির্মাণকাজে যুক্ত ছিল দুটি চিনা কোম্পানি।
আরও পড়ুন-প্রবল বৃষ্টিতে বাঁধ ভাঙল ফুলহারের, ফুলেফেঁপে উঠেছে ময়ূরাক্ষী-মহানন্দা-কালিন্দী
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বিএসএনএল, এমটিএমএল-সহ দেশের টেলিকম কোম্পানিগুলিকে চিনের সরঞ্জাম ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। এবার পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে জড়িত চিনা কোম্পানিগুলির ওপরে আঘাত হানা শুরু হল।
বিহার সরকারের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গঙ্গা নদীর ওপরে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল মোট ৪ সংস্থাকে। এদের মধ্যে দুটি সংস্থা চিনের। ওই টেন্ডার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। গোটা প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছিল ২,৯০০ কোটি টাকা। এর মধ্য়ে ছিল ৫.৬ কিলোমিটার লম্বা ব্রিজ, আন্ডারপাস, রেল ওভারব্রিজ ও অন্যান্য ছোট ছোট ব্রিজ।
আরও পড়ুন-চিনা মার্শাল আর্টের জবাব দেবে ভারতের ভয়ঙ্কর 'ঘটক'রা!
২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ওই ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান খোদ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গালওয়ানের ২০ জওয়ানের মৃত্যু পর সবকিছুই ওলটপালট হয়ে গেল।
গঙ্গার ওপরে মহাত্মা গান্ধী সেতুর সমান্তরাল ওই ব্রিজটি তৈরি হচ্ছিল। এটি তৈরি হয়ে গেল উপকৃত হতেন পাটনা, বৈশালী ও সারান জেলার মানুষজন। ব্রিজের সঙ্গেই নির্মাণের তালিকায় ছিল ৪টি আন্ডারপাস, ১.৫৮ কিলোমিটার লম্বা রাস্তা, একটি ফ্লাইওভার, ৪টি ছোট ব্রিজ, ৫টি বাস স্ট্যান্ড ও ১৩টি রোড জাংশন। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে।