ইন্টারনেটে শুধু নোংরা ছবি দেখে কাশ্মীরিরা, বন্ধ থাকলে ক্ষতি কী!, বিস্ফোরক মন্তব্য নীতি আয়োগ সদস্যের
গত বছর ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করা হয়। সেদিন থেকেই সেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা
নিজস্ব প্রতিবেদন: সম্প্রতি ইন্টারনেট ব্যবহার মানুষের মৌলিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত পাঁচ মাস কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে তা ফের চালু করছে সরকার। এরকম এক অবস্থায় ইন্টারনেট বনধকে সমর্থন করে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে সারস্বত।
আরও পড়ুন-বিছানায় ঘুমিয়ে স্বামী, এদিকে সেই ঘরেই উদ্ধার যৌনকর্মী স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ!
সংবাদমাধ্যমে সারস্বত বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের এমন কিছু লোক রয়েছে যারা ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে উপত্যকায় আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটায়। দেশের রাজনীতিবিদরা কাশ্মীরে যেতে চান কেন জানেন? ওরা চায় দিল্লিতে যেভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে তা কাশ্মীরেও হোক। এসব করা হবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।
NITI Aayog's VK Saraswat: I have been quoted out of context. If this misquotation has hurt the feelings of the people of Kashmir, I apologise and would not like them to carry this impression that I am against the rights of the Kashmiris to have internet access. https://t.co/8bwfkBGk6i pic.twitter.com/jwvHaDPVg1
— ANI (@ANI) January 19, 2020
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করা হয়। সেদিন থেকেই সেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। ফলে ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন সরাকারি কাজকর্ম যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি অবস্থা যোগাযোগেরও। সেসব কথা মানতে নারাজ সারস্বত। তিনি বলেন, কাশ্মীরের ইন্টারনেট না থাকলে কী তফাত হয়! ইন্টারনেটে শুধু নোংরা ছবি দেখে কাশ্মীরিরা।
আরও পড়ুন-আর রাজপুত্র-যুবরানি নয়, হ্যারি-মেগান এখন শুধুই আম আদমি!
এদিকে সারস্বতের ওই মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পরই সামালোচনা শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন মহল থেকে। ফলে পাল্টা বিবৃতি দিতে বাধ্য হন নীতি আয়োগের ওই সদস্য। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর ফলে কাশ্মীরের মানুষ যদি দুঃখ পান তাহলে তার জন্য ক্ষমা চাইছি। কাশ্মীরের মানুষদের অধিকারের বিরুদ্ধে আমি নই।’
সুপ্রিম কোর্ট তার এক সাম্প্রতির শুনানিতে বলে, ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকার। কাশ্মীরের গত ১৬৪ দিন যেভাবে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল তা পর্যালোচনা করতে বলে। এর পরেই কাশ্মীরের ৪০০ ইন্টারনেট কিয়স্ক খোলার পরিকল্পনা করে সরকার।