আগামী ৩১ অক্টোবর এমজে আকবরকে এজলাসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ আদালতের
আকবরের আইনজীবী গীতা লুথরা এদিন এজলাসে দাবি করেন, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মাধ্যমে একধিক টুইট করে তাঁকে অসম্মান করেছেন প্রিয়া রমানি। লুথরা মূল অভিযোগের টুইটের কপি দেখিয়ে বলেন তাঁর একটি টুইটে ১২০০ বেশি লাইক পড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে উঠল মিটু বিতর্কে বিদ্ধ প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবরের করা মানহানি মামলা। যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনায় সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। এ দিন বিচারক সমর বিশাল জানান, সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি হবে। সে দিন হলফনামা না দিয়ে খোদ এমজে আকবরকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন বিচারক। এম জে আকবর-সহ অন্যান্য সাক্ষীদেরও জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন- প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ইস্তফা দিলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর
আকবরের আইনজীবী গীতা লুথরা এদিন এজলাসে দাবি করেন, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মাধ্যমে একধিক টুইট করে তাঁকে অসম্মান করেছেন প্রিয়া রমানি। লুথরা মূল অভিযোগের টুইটের কপি দেখিয়ে বলেন তাঁর একটি টুইটে ১২০০ বেশি লাইক পড়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট-সহ দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমও প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খবর করেছে। যেখানে আকবরের কোনও অপরাধই করেননি সেখানে তাঁকে এ ভাবে কেন অপদস্থ করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন লুথরা। আকবরের আইনজীবী বলেন, পরবর্তী শুনানিতে এমজে আকবর উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি অন্যান্য সাক্ষীরাও এ দিন আদলতে হাজির থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন- তাহলে আমি ঠিকই বলেছিলাম, আকবরের পদত্যাগের পর বললেন অভিযোগকারিনী
উল্লেখ্য, বুধবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন এমজে আকবর। মিটু বিতর্কে প্রবল চাপের মুখে পড়ে প্রাক্তন সাংবাদিককে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও আকরবর জানিয়েছেন, আইনি লড়াইয়ের জন্য পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথমে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রমানিই। এর পর একে একে ১৯ জন সাংবাদিক তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, অভ্যব ব্যবহারের অভিযোগ আনেন।
যৌন হেনস্থার তালিকা দীর্ঘ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকবরের উপর প্রবল চাপ তৈরি হয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। নাইজেরিয়া থেকে রবিবার ফিরে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এর পর আকবর জানিয়ে দেন, লোকসভার ভোটের আগে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সে সময় ইস্তফা দেওয়া তো দূরাস্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের হুমকি দেন। সূত্রের খবর, প্রধান নরেন্দ্র মোদীর প্রত্যক্ষ চাপেই শেষমেশ ইস্তফা দিলেন তিনি।