কেএম জোসেফকে নিয়ে চেলামেশ্বরের পত্রবোমার পরই কলেজিয়ামের বৈঠকের সিদ্ধান্ত
শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কেএম জোসেফের নাম ফের সুপারিশ করা হবে কিনা, তা নিয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। গত মাসে কলেজিয়ামের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছিল সরকার। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন জে চেলামেশ্বর। সূত্রের খবর, চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'যত শীঘ্র সম্ভব কলেজিয়ামের বৈঠক ডাকতে হবে।' এরপরই আগামী কাল বৈঠকের কথা সামনে আসে।
গত মাসে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফের নাম সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদে প্রস্তাব করেছিল কলেজিয়াম। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ছাড়াও এই কলেজিয়ামে রয়েছেন বিচারপতি জে চেলামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ, মদন বি লোকুর ও ক্যুরিয়ন জোসেফ। ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ঘোষণা করেন, কলেজিয়ামের সুপারিশের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে চলেছেন ইন্দু মলহোত্রা । কংগ্রেস ও আইনি বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, প্রতিশোধস্পৃহার কারণে কেএমস জোসেফের নামের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, ২০১৬ সালে উত্তরাখণ্ডে কেন্দ্রের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সিদ্ধান্ত খারিজ করেছিলেন জোসেফ।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে চিঠি লিখে কেএমস জোসেফের পক্ষে সওয়াল করেন বিচারপতি চেলামেশ্বর। সূত্রের খবর, চিঠিতে তিনি লিখেছেন, যত দ্রুত সম্ভব কলেজিয়ামের বৈঠক ডেকে ফের বিচারপতি কেএম জোসেফের নাম সুপারিশ করা হোক। কারণ, এর মধ্যে এমন কিছুই ঘটেনি, যার জন্য জোসেফ বাদ পড়বেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু প্রতিনিধি থাকা উচিত বলেও মনে করেন চেলামেশ্বর।
প্রসঙ্গত, কলেজিয়াম ব্যবস্থায় বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করতে পারে সরকার। তবে বারবার সুপারিশ করলে কেন্দ্র নিয়োগ করতে বাধ্য। এক্ষেত্রে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা দেওয়া হয়নি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ২৪ জন বিচারপতি রয়েছেন। ৭টি পদ এখনও খালি। মনে করা হচ্ছে, শুক্রবারের বৈঠকে ফাঁকা পদের জন্য নতুন করে সুপারিশ করতে পারে কলেজিয়াম। সেখানেই ফের কেএম জোসেফের নামও আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।