জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশ পরে হামলা দুষ্কৃতীদের, মাথা ফাটল ছাত্রসংসদের সভানেত্রী ঐশীর

ঐশীকে ভর্তি করা হয়েছে এইমসের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে

Updated By: Jan 5, 2020, 09:18 PM IST
জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশ পরে হামলা দুষ্কৃতীদের, মাথা ফাটল ছাত্রসংসদের সভানেত্রী ঐশীর

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভরসন্ধেয় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে তাণ্ডব চালাল মুখোশ পর একদল দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধর করা হয় ছাত্র ও শিক্ষকদের। দুষ্কৃতীদের মারে মাথা ফেটেছে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে এইমসের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে।  হামলার অভিযোগ এবিভিপির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন-সাইবার ক্যাফেতে CAA- NRC-র  ফর্ম ফিলআপ করলে কম্পিউটার গুঁড়িয়ে দেব, হুঁশিয়ারি অনুব্রতর

এদিন সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ মুখোশ, মাফলার, টুপিতে মুখ ঢেকে ক্যাম্পাসে ঢোকে একদল যুবক। তাদের হাতে ছিল লাঠি।  ক্যাম্পাসে ঢোকামাত্রই তীব্র চিত্কার শুরু হয়ে যায় চারদিকে।  অনেকেই দৌড়াতে শুরু করেন।  ক্যাম্পাসের প্রতিটি ঘরে ঢুকে ঢুকে মারধর-ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের। এদিকে এবিভিপির অভিযোগ হামলার পেছনে বাম রয়েছে ছাত্র সংসদের সমর্থকরা।

আচমকা হামলায় অন্ধকারে শুরু হয়ে যায় প্রবল গন্ডগোল।  আক্রান্ত হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন।  অধ্যাপক অতুল সুদ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পাথর ছুঁড়তে ছুঁড়তে হামলাকারীরা হোস্টেলে ঢুকে পড়ে। তারপরেই শুরু হয় ভাঙচুর।  বড়বড় পাথরের আঘাতে হোস্টেলের একাধিক অংশ ভেঙে যায়। গুড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি।

 

আক্রান্ত ঐশী ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানান, মুখোশ পরে আমাদের ওপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। নির্মমভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে। মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে।

 

কয়েকদিন ধরেই ফের  হোস্টেলে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলেন নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ ছিল আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে এবিভিপি।

 

আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রচারে নামল বিজেপি, বাড়ি বাড়ি ঢুঁ বিস্তারকদের

 

হামলার নিন্দা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, জেএনইউয়ের সভাপতির ওপরে হামলার খবরে আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি। পুলিসের উচিত এক্ষুনি পদক্ষেপ নেওয়া। ক্যাম্পাসে পড়ুয়ারা যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদিকে, ওই হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যলয়ের গেটে হাজির হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। ক্যাম্পাসে রাখা হয়েছে ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স।  পড়ুয়াদের তরফে খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দিল্লি পুলিসের সদর দফতর ঘেরাও করবে পড়ুয়ারা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

.