‘দেশের ক্যাপ্টেন নেমকহারাম’, পাটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুকথার বন্যা জিগনেশ মেওয়ানির
গত বছর কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আয়ার প্রধানমন্ত্রীকে নীচ বলে মন্তব্য করেন। এনিয়ে একবার মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে শালীনতার সীমা ছাড়ালেন গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি। গুজরাটে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ওপরে হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে নেমকহারাম বলে মন্তব্য করেন গুজরাটের এই নেতা।
আরও পড়ুন-পাওনা ১৫০০ টাকা চাইতে গিয়ে কান কাটা গেল যুবকের!
বুধবার পাটনার গান্ধী ময়দানে ‘বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও’ সমাবেশের আয়োজন করে সিপিএম। সেই সমাবেশেই বক্তব্য রাখছিলেন মেওয়ানি। বক্তব্যের মধ্য ৬ বার তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নেমকহারাম বলে উল্লেখ করেন।
মেওয়ানি এদিন বলেন, ‘দেশের এই ক্যাপ্টেন নেমকহারাম। বিহার উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকরা দিনরাত খেটে রাস্তা-ফ্লাইওভার বানাচ্ছেন আহমেদাবাদ, রাজকোট, সুরাট, ভদোদরায়। সেই গুজরাটে ১২-১৫ দিন ধরে বিহার, উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকদের মারধর করা হয়েছে। আর এই নেমকহারাম একটা কথাও মুখে আনেননি। নরেন্দ্র মোদী আপনাকে ধিক্কার জানাই।’
শুধুমাত্র গান্ধী ময়দানেই নয়, এর আগেও একাধিকবার একাধিক ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কুকথা বলেছেন মেওয়ানি। কর্মসংস্থান কিংবা দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে তিনি যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই তিনি মোদীকে নিশানা করেছেন।
আরও পড়ুন-জলপাইগুড়িতে বিমাকর্মী খুনের কিনারা, ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ঘটনা
মেওয়ানিই শুধু নয়, কংগ্রেসের নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুকথা বলতে কম করেননি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে খারাপ কথা টুইট করায় আইনি ফাঁসে পড়েন কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান দিব্যা স্পন্দনা। বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং একবার মোদীকে রাবণ বলে মন্তব্য করেছিলেন। আনন্দ শর্মা তো মোদীকে পাগল বলতেও ছাড়েননি। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান প্রমোদ তিওয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন।
এদিকে ওইসব কুকথাকে খুব একটা আমল দিতে রাজি নয় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এনিয়ে খুব একটা বিচলিত বলে মনে হয় না। গত বছর কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আয়ার প্রধানমন্ত্রী নীচ বলে মন্তব্য করেন। এনিয়ে একবার মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার তিনি টুইট করেন, কংগ্রেসের বড়বড় নেতারা যে ভাষা আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন সেখানে গণতন্ত্র কোথায়! আমি কি এরকম ভাষার যোগ্য! আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ যে দেশের মানুষ আমার ওপরে বিশ্বাস রেখেছেন।