পাকিস্তানকে যুদ্ধজাহাজের তথ্য পাচার! পাক চর সন্দেহে গ্রেফতার ভারতীয় সেনা জওয়ান
ফের রাজ্য থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন পাক চর। ফরিদ খান নামে এক সেনা কর্মীকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সীমান্তে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচার করেছে ফরিদ, দাবি দিল্লি পুলিসের।
ব্যুরো: ফের রাজ্য থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন পাক চর। ফরিদ খান নামে এক সেনা কর্মীকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সীমান্তে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচার করেছে ফরিদ, দাবি দিল্লি পুলিসের।
সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত। জম্মু থেকে ভোপাল যাওয়ার পথে ধৃত পাক চর কাফায়তুল্লাকে জেরা করে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছিলেন তদন্তকারীদের।
কাফায়তুল্লার সঙ্গে ধরা পড়ে বিএসএফ জওয়ান আব্দুল রশিদ। রশিদকে জেরা করে মেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা মুনাওয়ারের নাম। পুলিসের জালে রাজৌরির শিক্ষক সবর আহমেদ
সবরের মাধ্যমেই কাফায়তুল্লার সঙ্গে পরিচয় ফরিদের। জম্মু কাশ্মীর লাইট ইনফ্যান্ট্রিতে কর্মরত ফরিদ খান।
২০১৪ সালে রাজৌরিতে কাজ করার সময় থেকেই পাক গুপ্তচরদের নিয়মিত সেনা বাহিনীর খবরাখবর পাচার করত ফরিদ, দাবি দিল্লি পুলিসের। কাশ্মীর থেকে বদলি হয়ে দার্জিলিং আসার পরও কাফায়তুল্লার সঙ্গে যোগ ছিল ফরিদের। নেটওয়ার্কে সাংকেতিক নাম ছিল সার্জেন। সেনা গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে সার্জেনকে দার্জিলিং-এ চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিস। শুক্রবারই দিল্লি পুলিসের আট সদস্যের দল পৌছয় শিলিগুড়ি। শনিবার সুকনা ক্যান্টনমেন্টে চলে ম্যারাথন জেরা। আর জেরা থেকেই উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য যা কার্যত হাড় হিম করে দিয়েছে সেনা গোয়েন্দাদের।
জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও এই চর নেটওয়ার্ক সক্রিয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। সিকিম ও অরুণাচল লাগোয়া চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা বিন্যাসের তথ্য পাচার। ভারত মহাসাগর ও আন্দামান সাগরে যুদ্ধজাহাজের সম্ভাব্য গতিবিধির তথ্য পাচার।
সোমবার ফরিদকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যাবেন গোয়েন্দারা। ফরিদের সূত্র ধরে সামরিক বাহিনীর অন্দরে থাকা বিভীষনদের হদিশ পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা।