রবিবার ইস্কোর প্ল্যান্ট উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
![রবিবার ইস্কোর প্ল্যান্ট উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার ইস্কোর প্ল্যান্ট উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/05/09/37754-3-modi-iisco.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: একদিন যা ছিল দাবি, আন্দোলন, এখন তাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ হয়েছে ইস্কোর। রবিবার ইস্কোর এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
১৮৭০ সাল। কুল্টিতে তৈরি হয়েছিল বেঙ্গল আইরন ওয়ার্কস নামে একটি ইস্পাত কারখানা। সে কারখানার আধুনিকীকরণ হয় ১৮৮০ সালে। ১৮৯০ সালে এই কারখানায় প্রথম লোহা গলানোর চুল্লি বসে। কারখানার নাম পরিবর্তন হয়ে হয় বেঙ্গল আইরন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি।
১৯১৮ সালে তৈরি হয় ইস্কো। অ্যাকুইন মার্টিন এবং শিল্পপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের যৌথ উদ্যোগে এই কারখানা তৈরি হয়। ১৯৩৬ সালে ইস্কোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় বেঙ্গল আইরন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি। ১৯৫৩ সালে ইস্কোর সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হয় ১৯৪৯ সালে বার্নপুরে তৈরি হওয়া ইস্পাত কারখানা স্টিল কর্পোরেশন অফ বেঙ্গলের। তবে এরপর আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকে ইস্কো। ১৯৭২ সালের চোদ্দই জুলাই রাষ্ট্রায়ত্বকরণ হয় ইস্কোর। রাষ্ট্রায়ত্বকরণ হওয়ার পরে ১৯৭৮ সালে ইস্কোকে সাবসিডিয়ারি সংস্থার মর্যাদা দেয় সেল। ১৯৯৮ সালে ইস্কোকে রুগ্ন ঘোষণা করে কেন্দ্র। শুরু হয় শ্রমিক আন্দোলন। দাবি,আধুনিকীকরণ করে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে ইস্কোকে।
ইস্কোর পুনরুজ্জীবনে সম্মতি দেওয়া হয়। শর্ত দেওয়া হয় সংস্থার ৪ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছাবসরে পাঠিয়ে দিতে হবে। সেই মতো কুলটি কারখানার প্রায় ৩ হাজার শ্রমিককে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয়। ১৬০ জনেরও বেশি কর্মীকে অন্যত্র বদলি করে কুলটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুনরুজ্জীবনের পর ইস্কো কারখানাকে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেয় সেইল। সেইলের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এরপরই শুরু হয় আধুনিকীকরণের কাজ। আধুনিকীকরণ নিয়ে জমি আন্দোলনে পুলিসের গুলিও চলে। তবে বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এখন আধুনিকীকরণের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ।
এই প্লান্ট দেশের প্রথম গ্রিনফিল্ড ইন্টিগ্রেটেড প্লান্ট অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব শিল্পে পরিণত হয়েছে। বসেছে দেশের সব থেকে বড় ব্লাস্ট ফার্নেস। আধুনিকীকরণের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের অঙ্ক পৌছে গিয়েছে ১৬ হাজার ৮০ কোটি টাকায়। ফলে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হবে প্রতি বছর আড়াই লক্ষ মিলিয়ন টন হট মেটল। শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রায়াল উত্পাদনও। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। রবিবার যা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।