ইসরোর রিপোর্টে অভিযুক্ত নায়ার-সহ ৩ বিজ্ঞানী
এস স্পেকট্রাম দুর্নীতির তদন্তে গঠিত ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ইসরো-র কমিটির রিপোর্টেও দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার-সহ ৪ মহাকাশ বিজ্ঞানী। প্রাক্তন চিফ ভিজিলেন্স কমিশনার (সিভিসি) প্রত্যুষ সিন্হার নেতৃত্বে গঠিত ইসরো কমিটি শনিবার রাতে তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০০৫-এ `অন্তরীক্ষ-দেভাস` চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল।
এস স্পেকট্রাম দুর্নীতির তদন্তে গঠিত ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ইসরো-র কমিটির রিপোর্টেও দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার-সহ ৪ মহাকাশ বিজ্ঞানী। প্রাক্তন চিফ ভিজিলেন্স কমিশনার (সিভিসি) প্রত্যুষ সিন্হার নেতৃত্বে গঠিত ইসরো কমিটি শনিবার রাতে তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০০৫-এ `অন্তরীক্ষ-দেভাস` চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব ছিল। প্রাক্তন ইসরো প্রধান মাধবন নায়ার ও ৩ মহাকাশ বিজ্ঞানী এ ভাস্করনারায়ণ, কে আর শ্রীধরমূর্তি ও কে এন শঙ্করের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, `` চুক্তি প্রক্রিয়ায় প্রবল ভাবেই স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার অভাব ছিল। এবং গোটা বিষয়টির বিষয়ে সরকার ও স্পেস কমিশনের কাছে অনেক তথ্য গোপন করা হয়েছে। চুক্তিটি অনৈতিক ভাবে দেভাসের পক্ষে ছিল।``
অভিযোগ, ২০০৫-এ দেভাস নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে মাত্র ১০০০ কোটি টাকায় ৭০ মেগা হার্টজ এস ব্যান্ড স্পেকট্রাম বণ্টন করে ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা `অন্তরীক্ষ`। গত বছরের থ্রি-জি স্পেকট্রাম বিক্রির হিসেব অনুযায়ী যার বাজারমূল্য হওয়া উচিত ছিল অন্তত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। ফলে সরকারের ক্ষতি হয় প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। এস স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির অভিযোগে জি মাধবন নায়ার-সহ ৪ মহাকাশ বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে সরকারি পদপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান সি এন আর রাও।
যদিও নায়ারের দাবি, কিছু ব্যক্তিগত কারণে ইসরোর বর্তমান ডিরেক্টর কে রাধাকৃষ্ণণ চক্রান্তে করেই তাঁকে দুর্নীতিতে দোষী প্রমাণিত করার জন্য তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করেছেন। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ করার পাশাপাশি সরকারি পদ গ্রহণের ব্যাপারে উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার সরকারি সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান।