সিন্ধিয়ার পর পাইলট? রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে সমন সনিয়ার
মধ্যপ্রদেশের মতো রাজস্থানেও মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে রয়েছে সংঘাতের আবহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিক্ষুব্ধ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ঘুঁটি করে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারকে ধাক্কা দিয়েছেন অমিত শাহ। মধ্যপ্রদেশের পর কি এবার রাজস্থান? সে রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে সচিন পাইলটের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। সিন্ধিয়া ভোল বদলাতেই তড়িঘড়ি অশোক গেহলটকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের পর কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তখন থেকে গোঁসাঘরে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হওয়ায় মধ্যপ্রদেশে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন সিন্ধিয়া। সূত্রের খবর, মাস দুয়েক ধরে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। অমিত শাহের সবুজ সংকেত মেলার পর তাঁর সঙ্গে পাকা কথা বলেন শিবরাজ সিং চৌহান। রাজস্থানেও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবিদার ছিলেন তরুণ নেতা সচিন পাইলট। তবে উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে।
মধ্যপ্রদেশের মতো রাজস্থানেও মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে রয়েছে সংঘাতের আবহ। সম্প্রতি রাজ্যসভার আসনে হিরে ব্যবসায়ী রাজীব অরোরাকে প্রার্থী করা নিয়ে আপত্তি জানান পাইলট। সূত্রের খবর, দলকে উপমুখ্যমন্ত্রী বার্তা পাঠিয়েছেন, রাজ্যসভার আসনে ব্যবসায়ীকে প্রার্থী করা হলে তা ভুল বার্তা দেবে জনমানসে। শুধু তাই নয়, কোটার হাসপাতালে শিশুমৃত্যু নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে পাইলটের। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে মতান্তর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর।
জ্যোতিরাদিত্যর পর সচিন পাইলট বিজেপির টার্গেট হতে পারেন বলে মনে করছে কংগ্রেস শিবির। সে কারণে তড়িঘড়ি অশোক গেহলটকে ডেকে পাঠান সনিয়া গান্ধী। মধ্যপ্রদেশ নিয়ে পাইলটের টুইটও যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। তিনি লিখেছিলেন,''মধ্যপ্রদেশের বিপর্যয়ের শীঘ্রই সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেবেন নেতারা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য রাজ্যে একটা স্থায়ী সরকার দরকার।''
I am hopeful that the current crisis in MP ends soon and that leaders are able to resolve differences. The state needs a stable government in order to fulfill the promises make to the electrolate.
— Sachin Pilot (@SachinPilot) March 9, 2020
মধ্যপ্রদেশের মতো রাজস্থানেও সুতোয় ঝুলছে কংগ্রেস সরকার। ২০০ আসনের রাজস্থানে কংগ্রেসের সমর্থন রয়েছে ১২০ জন বিধায়কের। এক মধ্যে ২ জন সিপিএম ও একজন আরএলডি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সরকারের। বিজেপির আসন সংখ্যা ৭৩। মধ্যপ্রদেশের মতো অনায়াসেই কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার মতো জায়গায় রয়েছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন- অযোধ্যায় রামের প্রত্যাবর্তনের হোলি মিলিয়ে দিল মন্দিরের সমর্থক-বিরোধীদের