বিমা বিল নিয়ে সরগরম রাজধানীর রাজনীতি
বিমা বিল নিয়ে সরগরম রাজধানীর রাজনীতি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিল পাশ করাতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নতুন দিল্লি: বিমা বিল নিয়ে সরগরম রাজধানীর রাজনীতি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিল পাশ করাতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিলের বিরোধিতায় একজোট বিরোধীরাও। কী আছে এই বিলে?
বিমা বিল আইনে পরিণত হলে সাধারণ মানুষের ওপরই বা কী প্রভাব পড়বে? সংসদে বিমা বিল পেশ নিয়ে চলছে বিতর্ক। বিল বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে সই সংগ্রহ করছেন বিমাকর্মীরা। সই করেছেন গিরিশ কান্নাড থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অর্থনীতিবিদ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
সরকারের যুক্তি, পুঁজির অভাবে বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলি লাভ করতে পারছে না। তাদের মূলধন যোগাতেই বাড়ানো হচ্ছে বিদেশি লগ্নির উর্ধ্বসীমা। যদিও তথ্য বলছে, ২০১৩-র ৩১ মার্চের হিসাব অনুযায়ী,
বাজাজ অ্যালিয়্যান্সের মূলধনের পরিমাণ ৪৮৪৪ কোটি টাকা। যেখানে তারা ৬৮৯৩ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। ২২০৪ কোটি টাকা লগ্নি করে ১১৩২৩ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে এইচডিএফসি স্ট্যান্ডার্ড।
একবার চোখ রাখা যাক রাষ্ট্রায়ত্ত লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশনের দিকে। পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে যত মানুষ জীবন বিমা করান তাঁদের মধ্যে ৮১ শতাংশ পছন্দ করেন এলআইসিকে। জীবন বিমা সংস্থাগুলির মোট প্রিমিয়ামের ৭৬ শতাংশই আসে এলআইসির ঘরে।
বিমা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তথ্য প্রমাণ করে যে সব মানুষের আয় কম তাঁরা আস্থা রাখেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এলআইসির ওপরেই। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমাকর্মীদেরও যুক্তি একই। তাঁরা বলছেন, বিমা বিলে বিদেশি লগ্নির উর্ধ্বসীমা আখেরে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণের রাস্তা খুলে দেবে। যার ফলে ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষের।