হাওড়া - দিল্লির মধ্যে ট্রেন চালাবে বেসরকারি সংস্থা, ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
রেলের পরিকল্পনা অনুসারে দেশের সব থেকে ব্যস্ত ২ রেল রুট, দিল্লি - হাওড়া ও দিল্লি - মুম্বইয়ের মধ্যে ট্রেন চালানোর ভার তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। ইতিমধ্যে এব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিদেশি সংস্থাকেও।
![হাওড়া - দিল্লির মধ্যে ট্রেন চালাবে বেসরকারি সংস্থা, ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা হাওড়া - দিল্লির মধ্যে ট্রেন চালাবে বেসরকারি সংস্থা, ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/09/09/207885-xvasxvsvx.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়া - নয়া দিল্লির মধ্যে দ্রুতগতির ট্রেন চালাবে বেসরকারি সংস্থা। সোমবার এই প্রস্তাবে সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই রুটে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে ট্রেন। এমনটাই জানিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব।
রেলের পরিকল্পনা অনুসারে দেশের সব থেকে ব্যস্ত ২ রেল রুট, দিল্লি - হাওড়া ও দিল্লি - মুম্বইয়ের মধ্যে ট্রেন চালানোর ভার তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। ইতিমধ্যে এব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিদেশি সংস্থাকেও। ওই ২ রুটে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালাবে তারা। ফলে ১২ ঘণ্টাতেই হাওড়া থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে দিল্লি।
রেলের পরিকল্পনা অনুসারে কিছুদিনের মধ্যেই এই ২ রুটে চালু হয়ে যাবে ফ্রেইট করিডর। যার ফলে চাপ কমবে বর্তমান রেল লাইনের ওপর। যার ফলে দ্রুতগতিতে চালানো যাবে ট্রেন। যদিও সেজন্য রেলপথের বড়সড় সংস্কার করতে হবে হলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রেলের বেসরকারিকরণের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যে ২টি দ্রুতগামী তেজস এক্সপ্রেসের দায়িত্ব আইআরসিটিসি-র হাতে তুলে দিয়েছে রেল। দিল্লি - লখনউ ও আমদাবাদ - মুম্বইয়ের মধ্যে চলাচল করবে ট্রেনগুলি। ট্রেন চালানোর যাবতীয় ভার দেওয়া হয়েছে আইআরসিটিসিকে। এমনকী ট্রেনের ভাড়াও নির্ধারণ করবে তারাই। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে চলতে শুরু করবে দিল্লি - লখনউ তেজস এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের টিকিটে কোনও ছাড় পাবেন না কেউ।
মমতা যা করছে, পালটা হবে, জেরার পর থানা থেকে বেরিয়ে বললেন মুকুল
কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, ভর্তুকিতে ট্রেন চালিয়ে বিশ্বমানের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য দরকার বেসরকারিকরণ। গোটা বিশ্বে ট্রেন চালায় বেসরকারি সংস্থাই। তাহলে ভারতই বা পিছিয়ে থাকবে কেন।
বিরোধীদের দাবি, এভাবে রেলের তথা রাষ্ট্রের সম্পত্তি ব্যবহার করে বেসরকারি পুঁজিপতিদের মুনাফা করার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার।