Modi Yunus Meeting: হাসিনা থেকে তিস্তা-- সুরাহার খোঁজে মোদীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে বৈঠক চাইছেন ইউনূস!

Modi Yunus Meeting: এমাসেই নিউ ইয়র্কের বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছেন মোদী ও ইউনূস। সেকথা মাথায় রেখেই এসপ্তাহের প্রথম দিকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ সরকার

Updated By: Sep 7, 2024, 11:49 PM IST
Modi Yunus Meeting: হাসিনা থেকে তিস্তা-- সুরাহার খোঁজে মোদীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে বৈঠক চাইছেন ইউনূস!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা এখন দিল্লিতে। এদিকে, হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য সেদেশে চাপ বাড়ছে সরকারের উপরে। হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। এরকম এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। এমাসের শেষে নিউ ইয়র্কে বসছে রাষ্ট্র সংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। সেই অধিবেশনের ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা বলেছে ঢাকা। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও ভারত কিছু বলেনি বাংলাদেশকে। এমনটাই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর।

আরও পড়ুন-যৌন হেনস্থার অভিযোগ! ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে সাসপেন্ড পরিচালক অরিন্দম শীল

ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, সম্প্রতি ড. ইউনূস তাঁর এক সাক্ষাতকারে ভারত সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন তাকে ভালোভাবে নেয়নি ভারত। ফলে নিউ ইয়র্কে মোদী-ইউনূস বৈঠকের সম্ভাবনা খুবই কম। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় এসেই ড. ইউনূস ভারত সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছিলেন তার মোদ্দা কথা হল, ভারত বাংলাদেশের একটি পরিবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেনি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা নিয়েও ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সবে মিলিয়ে হাসিনা পরবর্তী সময়ে দুদেশের মধ্যে একটা চাপা সংঘাত রয়েছে।

এমাসেই নিউ ইয়র্কের বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে যাচ্ছেন মোদী ও ইউনূস। সেকথা মাথায় রেখেই এসপ্তাহের প্রথম দিকে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ সরকার। এনিয়ে ভারত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি বলেই দাবি ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।

পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস ভারতে থাকা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নিয়ে করা মন্তব্যের সমালোচনা করেন। সাক্ষাৎকারে ইউনূস ইঙ্গিত দেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে এবং বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সব দল ইসলামপন্থী—এই দাবি থেকে ভারতের সরে আসা উচিত। বাংলাদেশ ফেরত না চাওয়া পর্যন্ত ভারত যদি শেখ হাসিনাকে রাখতে চায়, তাহলে তাঁকে চুপ করে থাকতে হবে। ইউনূস বলেন, ভারতে বসে তিনি কথাবার্তা বলছেন ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। কেউ এটা পছন্দ করছেন না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে হওয়া গোলমালের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রথানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তখন থেকে ভারতে আছেন। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। এ অবস্থায় তিনি আর ভারতে থাকতে পারবেন কি না এবং তাঁর সম্ভাব্য প্রত্যর্পণ বিষয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)



 

.