পাকিস্তানের কাছ থেকে মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা কেড়ে নিল ভারত

কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতের এই সিদ্ধান্তে ধাক্কা খেল পাকিস্তান। কারণ, এমনিতেই তাদের অর্থনীতি ধুঁকছে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে তার বড় প্রভাব পড়বে পাকিস্তানের উপর।

Updated By: Feb 15, 2019, 02:57 PM IST
পাকিস্তানের কাছ থেকে মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা কেড়ে নিল ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কাশ্মীরের উরি সেক্টরে সেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। তার পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্ক বন্ধ করার দাবি উঠেছিল। সেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে দিল মোদী সরকার।

আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলার ছক ৬ মাস আগেই, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ আদিলকে : সূত্র

বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জাতীয় সড়কের উপর সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। সেই হামলায় ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।

সেই হামলার পর শুক্রবার সকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তিন বাহিনীর প্রধান-সহ আরও বেশ কয়েকজন।

আরও পড়ুন: আলোচনার মধ্যে দিয়েই জঙ্গি সমস্যার সমাধান করতে হবে, মন্তব্য সিধুর 

সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় পাকিস্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা। এটা আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের অন্তর্গত। এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে কোনও দেশকে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা দেওয়া হয়। তাদের থেকে কেনা হয় নানা সামগ্রী।

১৯৯৬ সালে ভারতের তরফে পাকিস্তানকে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এর পর ভারত পাকিস্তান থেকে সিমেন্ট, চিনি, ফল, ড্রাই ফ্রুটস, মিনারেল ওয়াটার, স্টিল-সহ অন্যান্য সামগ্রী কেনে।

আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার ‘প্রতিশোধ’ নিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতার ঘোষণা মোদীর

এবার থেকে ভারত আর সেগুলি কিনবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমার কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতের এই সিদ্ধান্তে ধাক্কা খেল পাকিস্তান। কারণ, এমনিতেই তাদের অর্থনীতি ধুঁকছে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেলে তার বড় প্রভাব পড়বে পাকিস্তানের উপর।

.