লকডাউনের মধ্যেই সুখবর; এবছর বর্ষায় বৃষ্টি হবে স্বাভাবিক, জানাল মৌসম ভবন
লকডাউনে স্তব্ধ দেশের জনজীবন। কোটি কোটি মানুষের হাতে কাজ নেই। কৃষিকাজও বহু জায়গায় বন্ধ। এরকম পরিস্থিতিতে সুখবর শোনাল ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এবছর বর্ষা হবে স্বাভাবিক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনে স্তব্ধ দেশের জনজীবন। কোটি কোটি মানুষের হাতে কাজ নেই। কৃষিকাজও বহু জায়গায় বন্ধ। এরকম পরিস্থিতিতে সুখবর শোনাল ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এবছর বর্ষা হবে স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন-লকডাউনে সারছে 'রোগ', গুণগত মানে পানীয় জলের সমতুল্য এখন গঙ্গার জল!
আবহাওয়াবিদদের দাবি, এরবছর বর্ষায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকবে। আশা করা যায় বর্ষায় স্বাভাবিক যে বৃষ্টির পরিমাণ ধরা হয় তার ৫ শতাংশ কম বা বেশি হতে পারে।
কখন বর্ষা আসবে তারও একটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয়ে থাকে দেশে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব মহাদেবন রাজীবন জানিয়েছেন, আগামী ১ জুন কেরলে বর্ষা এসে যাবে। চেন্নাইয়ে তা আসবে ৪ জুন, পঞ্জিমে আসবে ৭ জুন, হায়দরাবাদে ৮ জুন, পুণেতে ১০ জুন ও মু্ম্বইয়ে বর্ষা এসে পৌঁছবে ১১ জুন। রাজধানীতে বর্ষা এসে পৌঁছবে ২৭ জুন।
আরও পড়ুন-ভারতের ৪ রাজ্যে ২ প্রজাতির বাদুড়ের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস!
করোনা ও তার প্রভাবে লকডাউন যেভাবে দেশের অর্থনীতিতে আঘাত করতে চলেছে তা অভূতপূর্ব। বিশ্বব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী চলতি আর্থিক বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ১.৫-২.৮ শতাংশ। কিন্তু আইএমএফ বলছে আরও খারাপ হবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার। তাদের হিসেবে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হবে ১.৯ শতাংশ। এরকম এক অবস্থায় কৃষিনির্ভর এই দেশে বর্ষা না হলে বিপাক পড়বে দেশের অর্থনীতি। তার পুরো চাপটাই গিয়ে পড়বে গরিব ও কৃষিজীবী মানুষের ওপরে।