ভারতের কড়া বার্তার পরও বিছিন্নবাদীদের সঙ্গে বৈঠকে পাক হাইকমিশনার
আড়াই মাসেই বেলাইন মৈত্রী এক্সপ্রেস। ভারতের কড়া বার্তা পরও অবস্থানে অনড় পাকিস্তান। গতকালের পর আজ ফের বিছিন্নবাদী নেতা শাহ গিলানির সঙ্গে বৈঠক করলেন পাক হাইকমিশনার। হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে পর পর দুদিন পাক হাইকমিশনারের বৈঠকের জেরে আপাতত স্থগিত ভারত-পাক বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে সেপ্টেম্বরে মোদী-শরিফ বৈঠক ঘিরেও। ভারতের এই পদক্ষেপকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে আমেরিকা।
নয়াদিল্লি: আড়াই মাসেই বেলাইন মৈত্রী এক্সপ্রেস। ভারতের কড়া বার্তা পরও অবস্থানে অনড় পাকিস্তান। গতকালের পর আজ ফের বিছিন্নবাদী নেতা শাহ গিলানির সঙ্গে বৈঠক করলেন পাক হাইকমিশনার। হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে পর পর দুদিন পাক হাইকমিশনারের বৈঠকের জেরে আপাতত স্থগিত ভারত-পাক বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে সেপ্টেম্বরে মোদী-শরিফ বৈঠক ঘিরেও। ভারতের এই পদক্ষেপকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে আমেরিকা।
ভারতের কড়া বার্তার পরও অবস্থানে অনড় রইল পাকিস্তান। সাবির শাহের পর মঙ্গলবার আরেক হুরিয়ত নেতা শাহ গিলানির সঙ্গে বৈঠক করলেন পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত। এদিন সকালেই কাশ্মীর থেকেই দিল্লি উড়ে আসেন গিলানি। পাক হাইকমিশন অফিসের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পাকিস্তানের সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন হুরিয়ত নেতা।
বিছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাক হাইকমিশনারের বৈঠক যে ভারত ভালো চোখে দেখছে সোমবারই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। আপাতত পাকিস্তানের সঙ্গে বিদেশ সচিব পর্যায়ের আলোচনা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে সেপ্টেম্বরে মোদী-শরিফ বৈঠক ঘিরেও। যদিও, সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। পাকিস্তান সম্পর্কে সরকারের নীতির ধারাবাহিকতা নেই বলে অভিযোগ কংগ্রেস ও বামেদের। বিরোধীরা সমালোচনা করলেও, মোদী সরকারের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। শান্তিপ্রক্রিয়া ও বিছিন্নবাদীদের সঙ্গে আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
ক্ষমতার আসার পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হন মোদী। সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন নওয়াজ শরিফও। দুদেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি শরিফ-মোদী বৈঠকের সম্ভাবনাও তৈরি হয়। হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে পাক হাইকমিশনারের বৈঠক আপাতত সেই প্রয়াসে শেষ পেরেকটা ঠুকে দিল বলেই মত কূটনৈতিক মহলের।