লকডাউনে মিলছে সুফল, সামাজিক সংক্রমণে পৌঁছয়নি ভারত! যুক্তি কেন্দ্রের
অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে সামাজিক সংক্রমণ ঘটছে। যদিও, এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সামাজিক সংক্রমণ তত্ত্ব পুরোপুরি নাকচ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যা ঘটছে তা পুরোটাই স্থানীয় সংক্রমণ, বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউন চলছে। মিলছে সুফলও। দেশে করোনা সংক্রমণকে এখনও স্থানীয় স্তরেই বেঁধে রাখা গেছে। গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়ায়নি। আজ একথা জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশে এখনও পর্যন্ত ১১৮৬ জনের শরীরে কোভিড নাইন সংক্রমণ হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে উনত্রিশজনের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশ থেকে চিকিত্সা সরঞ্জাম আমদানি করছে মোদী সরকার।
কামড় জোরালো করছে করোনা। আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুও বাড়ছে রোজ। তবুও, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।কারণ এখনও আমরা স্টেজ থ্রিতে পৌছয়নি। এমনই আশার কথা শোনাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তবে কী গোষ্ঠী সংক্রমণের স্তরে পৌছে গেল করোনা? গতকয়েকদিন দেশের আনাচেকানাচে ঘোরাফেরা করছিল প্রশ্নটা। সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আমাদের দেশে করোনা এখনও স্থানীয় সংক্রমণের স্তরেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: 'কোনও গরীব মানুষ যেন না খেয়ে থাকে', নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মমতার
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, এখনও পর্যন্ত যাঁরা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, তা এসেছে অপর কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে । তার থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়েছে।একে কখনই গোষ্ঠী সংক্রমণ বলা যায়না। আর সেই হারও ভারতের মতো দেশের জনসংখ্যার নিরিখে নিতান্তই কম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আশ্বাস, দেশে কোভিড ১৯ পজিটিভের সংখ্যা ১০০ থেকে ১০০০ ছুঁতে ১২দিন সময় লেগেছে। উন্নত বহু দেশে এই সময়ের মধ্যে ৩-৪ হাজার মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সেদিক থেকে ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর হার এখনও সন্তোষজনক।
কোভিড নাইনটিনকে সীমার মধ্যে বেঁধে রাখার কৃতিত্ব লকডাউনকে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব। তবে, সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ায় রোগ মোকাবিলায় পুরোদস্তর প্রস্তুত থাকতে চাইছে কেন্দ্র। এজন্য এশিয়ার তিনদেশের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছে নয়াদিল্লি।
করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও চিন থেকে ভেন্টিলেটর ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা PPE আনা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর থেকে ১০লক্ষ PPE কিট আমদানির বরাত দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হচ্ছে ২০ লক্ষ PPE কিট। চিন থেকে ১০ হাজার ভেন্টিলেটর আমদানি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রবিবার রাতের একটি রিপোর্টকে হাতিয়ার করে জাতীয় একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ভারতে এখন স্থানীয়ভাবে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে সামাজিক সংক্রমণ ঘটছে। যদিও, এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সামাজিক সংক্রমণ তত্ত্ব পুরোপুরি নাকচ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যা ঘটছে তা পুরোটাই স্থানীয় সংক্রমণ, বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।