‘হিন্দু রাষ্ট্র’ তৈরিতে সুপ্রিম কোর্টের অবদান! প্রধানমন্ত্রীর ভুয়ো চিঠি ঘুরছে বাংলাদেশে, কড়া নিন্দা ভারতের
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইট করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। দেশের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি, ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অযোধ্যা জমি বিবাদ মামলায় মন্দির তৈরির পক্ষে রায়দান দেওয়ায় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! শুধু তাই নয়, পিএমও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য! এমন ভুয়ো চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ মিডিয়ার একাংশে এই ভুয়ো চিঠি নিয়ে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। ভুয়ো খবর ছড়ানোয় কড়া নিন্দা করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের হাই কমিশন।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইট করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। দেশের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি, ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, অযোধ্যা মামলা রায় বেরনোর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হার জিত হিসাবে দেখা উচিত নয়। এ সময় রাম বা রহিম ভক্তির থেকে রাষ্ট্রভক্তিই দেশকে আরও মজবুত করে তুলবে। শান্তি এবং একতা বজায় রাখা বার্তা দেন তিনি।
আরও পড়ুন- দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুর
We strongly condemn those responsible for deliberately spreading such fake and malicious news, to divide communities, create disharmony and undermine friendship between the people of India and Bangladesh. https://t.co/LEdXxutzNc
— Raveesh Kumar (@MEAIndia) November 13, 2019
অযোধ্যা মামলা রায় বেরনোর পর হিন্দু-মুসলিম সব পক্ষই বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থেকেছেন। নিজেরাই এগিয়ে এসে একতা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। গত ৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয় বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরি হবে। এর জন্য কেন্দ্রকে ট্রাস্ট তৈরি করতে ৩ মাসের সময় দেওয়া হয়। মুসলিম পক্ষকে অযোধ্যায় অন্যত্র মসজিদ করার জন্য ৫ একর জমি দেওয়া হয়।