লাদাখে ৩ সেনার মৃত্যু, তিন বাহিনীর প্রধান-সিডিএসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে রাজনাথ
কয়েকদিন আগেই দুদেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তার পরেই ভারতের তরফে জানানো হয়ে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নিতে গিয়েও ঘটে গেল অঘটন। সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিন-ভারত সেনার লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন ভারতের এক মেজর ও ২ জওয়ান।
আরও পড়ুন-আবার হবে ১৪ বছর পর! ২১ জুন সারা দেশের সঙ্গে বিরল মহাজাগতিকের সাক্ষী থাকবে কলকাতাও
Defence Minister Rajnath Singh held a meeting with Chief of Defence Staff General Bipin Rawat, the three service chiefs and External Affairs Minister Dr S Jaishankar. Recent developments in Eastern Ladakh were discussed. pic.twitter.com/0HiE9jBdDj
— ANI (@ANI) June 16, 2020
চুক্তি মতো ভারতীয় জওয়ানরা গালওয়ান উপত্যকার নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে পিছিয়ে আসছিলেন। সেই সময়েই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।
লাদাখে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় চিফ অব আর্মি স্টাফ (CDS) বিপিন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁদের কাছে গোটা পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করছেন রাজনাথ।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর সোমবার রাতে চিনা সেনার সঙ্গে ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু হয়ে যায়। এতে দুপক্ষেরই ক্ষতি হয়েছে। তবে চিনের কতজন সেনা মারা গিয়েছে তা জানা যাচ্ছে না। ভারতের এক কর্নেল ও ২ জওয়ান শহিদ হয়েছেন।
"Chinese side also suffered casualties in the Galwan Valley physical clash", tweets Editor In Chief of Chinese Newspaper Global Times pic.twitter.com/i5NknsF5lx
— ANI (@ANI) June 16, 2020
কয়েকদিন আগেই দুদেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তার পরেই ভারতের তরফে জানানো হয়ে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হবে। সোমবার রাতের ঘটনার পর দুপক্ষেরই সেনা কামান্ডাররা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে জানা যাচ্ছে গতরাতে কোনও গুলি চলেনি। তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে অন্য কোনও ভাবে। এলএসিতে শেষবার গুলি চলেছিল ১৯৭৫ সালে।
আরও পড়ুন-আয় বন্ধ ২ মাস, আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছে ২০০ পরিবার, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি মেলাশিল্পীদের
সর্বশেষ পরিস্থিতি
দুপক্ষের শীর্ষস্থানীয় অফিসাররা যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
সোমবারও দুদেশের ব্রিগেড পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এখন কথা চলছে লাদাখের ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে।
চিনের তরফে বলা হয়েছে, আশাকারি ভারত পরিস্থিতি খারাপ হতে দেবে না।