India Canda Conflict: নিজ্জরকাণ্ডে কানাডার এক কূটনীতিককে দেশ ছাড়তে বলল ভারত, জেনে নিন এই খালিস্তানি নেতা সম্পর্কে
India Canda Conflict: ভারত বারেবারেই নিজ্জরের জঙ্গি কার্যকালাপে জড়িত থাকার কথা বলে এসেছে। পঞ্চাবে জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোর অভিযোগ ছিল নিজ্জরের বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে লুধিয়ানায় এক বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৪২ জন
জি ২৪ ঘণ্টা জিডিটাল ব্যুরো: খালিস্তান টাইগার ফোর্সের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার সংঘাত চরমে। ওই নেতার খুনের ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত। ট্রুডোর ওই মন্তব্যকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে ভারত। এর মধ্যেই সোমবার ভারতের এক কূটনীতিককে সেদেশ থেকে বহিষ্কার করেছে কানাডা। এবার আজ কানাডার রাষ্ট্রদূতকে সাউথ ব্লকে ডেকে সেদেশের এক কূটনীতিককে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে ভারত ছাড়তে হবে ৫ দিনের মধ্য়ে।
আরও পড়ুন-বসছে সিসিটিভি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকে সংস্থা
কী বলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী? জাস্টিন ট্রুডো মন্তব্য করেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টের ভূমিকা রয়েছে। এই দাবির পেছনে কানাডার হাতে যুক্তি রয়েছে। ওই মন্তব্যই শুধু নয়, ভারতের এক কূটনীতিকে সেদেশ থেকে ছেড়ে চলে যেতে বলে। এতেই দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে যায়। তার পরই ভারত কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি, কানাডার সংসদের এক বিশেষ অধিবেশনে ট্রুডো বলেন, কানাডার মাটিতে কানাডার কোনও নাগরিককে হত্যার পেছন কোনও বিদেশি সরকারের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। মুক্ত গণতন্ত্রে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে যাকে নিয়ে এত গন্ডগোল সেই হরদীপ সিং নিজ্জর আসলে কে?
গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এক গুরুদ্বারের সামনে গুলি করে খুন করা হয় খালিস্তান টাইগার ফোর্সের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে। ১৯৯৭ সালে কানাডায় আশ্রয় নেন নিজ্জর। নিজেকে উদ্বাস্তু বলে কানাডার নাগরিকত্বের আবেদন করেন নিজ্জর। তার সেই আবেদন বাতিল হয়ে যায়। এরপর এক মহিলাকে বিয়ে করে নিজ্জরকে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেন। এই নিজ্জরকে ২০২০ সালে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে ভারত। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি অনুযায়ী যুবকদের খালিস্থানি টাইগার ফোর্সে নিয়োগ করা ও তাদের ট্রেনিং দিতেন নিজ্জর। এর পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস(SFJ)-র সদস্য ছিলেন নিজ্জর।
ভারত বারেবারেই নিজ্জরের জঙ্গি কার্যকালাপে জড়িত থাকার কথা বলে এসেছে। পঞ্চাবে জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোর অভিযোগ ছিল নিজ্জরের বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে লুধিয়ানায় এক বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৪২ জন। সেই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন নিজ্জর। ২০১০ সালে পাতিয়ালায় এক মন্দিরের পাশে এক বোমা বিস্ফোরণেও নাম জয়ায় নিজ্জরের। পঞ্চাবে হিন্দু নেতাদের খুনের ষড়যন্ত্রও ছিল নিজ্জরের বিরুদ্ধে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে নিজ্জরের বিরুদ্ধে একটি লুক আউট সার্কুলার জারি হয় নিজ্জরের বিরুদ্ধে।