ভোটের দফা বাড়লে ভোট বাড়ে আঞ্চলিক দলের, জাতীয় দলগুলির ভোট প্রাপ্তির হার কমে, বলছে অতীত ইতিহাস

যত বেশি দফায় ভোট , তত বেশি ভোট পায় আঞ্চলিক দলগুলি। তুলনামূলকভাবে ভোটের হার কম হয় জাতীয় দলগুলির। বিগত লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান কিন্তু সেকথাই বলছে। এবার তো ভোটের দফা আরও বেড়েছে। তাহলে কী আরও বেশি সুবিধা পাবে আঞ্চলিক দলগুলি?

Updated By: Mar 6, 2014, 09:18 AM IST

যত বেশি দফায় ভোট , তত বেশি ভোট পায় আঞ্চলিক দলগুলি। তুলনামূলকভাবে ভোটের হার কম হয় জাতীয় দলগুলির। বিগত লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান কিন্তু সেকথাই বলছে। এবার তো ভোটের দফা আরও বেড়েছে। তাহলে কী আরও বেশি সুবিধা পাবে আঞ্চলিক দলগুলি?

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে লোকসভা ভোটগ্রহণ হচ্ছে ২০১৪ সালে। ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৯ দফার ভোট শেষ হবে বারোই মে। ফল ঘোষণা ষোলোই মে। বিগত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন নির্বাচনে দফার সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে যত বেশি দফায় ভোট হয়, তত বেশি ভোট পায় আঞ্চলিক দলগুলি।

সাম্প্রতিক অতীতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের ভোট এই বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে কয় দফায় ভোট হচ্ছে রাজস্থানে ভোট হচ্ছে ২ দফায়, বিহারে ৬ দফা, মধ্যপ্রদেশে ৩ দফা, উত্তরপ্রদেশে ৬ দফা, অসমে ৩ দফা, ত্রিপুরায় ২ দফা, পশ্চিমবঙ্গে ৫ দফা, ছত্তিসগড়ে ৩ দফা, ঝাড়খণ্ডে ভোট হচ্ছে ৩ দফায়।

বেশি দফায় ভোট হলে আঞ্চলিক দল গুলির ভোটের হার বাড়ছে।

২০০৯ সালে বিহারে চার দফায় ভোট হয়েছিল। বিজেপি ও কংগ্রেসের ভোটের হার যোগ করলে হয় ২৪. ১৯ %। জেডিইউ ও আরজেডির ভোটের হার যোগ করলে হয় ৪৩.৩৫%।

২০০৯ সালে উত্তরপ্রদেশে ৫ দফায় ভোট হয়েছিল। বিজেপি ও কংগ্রেসের ভোটের হার যোগ করলে হয় ৩৭. ৭৫ %। বিএসপি, সপা ও আরএলডির ভোটের হার একত্রিত করলে হয় ৫৩. ৯৫%।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই প্রভাব লক্ষ্যনীয়। দুহাজার নয় সালে ভোট হয়েছিল তিন দফায়। বাম ও তৃণমূলের ভোটের হার যোগ করলে হয় ৭৪ .৪৮%। অন্যদিকে বিজেপি ও কংগ্রেসের ভোটের হার একত্রিত করলে হয় ১৯. ৫৯%। যদিও সেবার তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে পশ্চিমবঙ্গে ভোটে লড়েছিল কংগ্রেস।

.