দিল্লি, লখনউতে আপ-বিজেপি সংঘর্ষ, ক্ষমা চাইলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ১৪ জন আপ সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিস

বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পার্টি সদস্যদের ভয়াবহ সংঘর্ষের পর এই ঘটনার জন্য সমর্থকদের হয়ে ক্ষমা চাইলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সমর্থকদের কাছে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, কালকের ঘটনার জন্য দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটের পুলিস স্টেশনে দাঙ্গা, সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ধ্বংস ও পুলিসকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুই দলের মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

Updated By: Mar 6, 2014, 09:21 AM IST

গতকাল বিজেপির সদর দফতরে হামলা ও দফতরের সামনে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জন আপ সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিস। কালকের ঘটনার জন্য দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিটের পুলিস স্টেশনে দাঙ্গা, সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ধ্বংস ও পুলিসকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুই দলের মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পার্টি সদস্যদের ভয়াবহ সংঘর্ষের পর এই ঘটনার জন্য সমর্থকদের হয়ে ক্ষমা চাইলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সমর্থকদের কাছে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গুজরাত সফরের প্রথম দিনকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় রাজধানী আর লখনউতে। নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে আপ সুপ্রিমোকে আটক কড়ার কথা ছড়িয়ে পড়তেই আপ সমর্থকরা দিল্লি আর লখনউতে বিজেপি দফতরে হামলা চালায়। পাল্টা হামলা চালায় বিজেপিও। দুই দলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এই দুই শহরের বিজেপি সদর দফতর এলাকা। আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে আপ-এর বিরুদ্ধে নালিশ ঠোকার পরিকল্পনা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা কমিশনের কাছে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাবেন।

বুধবার উত্তর গুজরাটের রাধানপুর থানা কেজরিওয়ালকে আধ ঘণ্টা আটকে রেখে ছেড়ে দেয়। এই খবর পৌছতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লির বিজেপির সদর দফতর এলাকা। বিজেপি অফিসে চড়াও হন আপ কর্মী, সমর্থকরা। পাল্টা হামলা চালায় বিজেপিও।

নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের হালহকিকত সরেজমিনে দেখতে গুজরাট গিয়েছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সভা করার কথাও ছিল। কিন্তু সভাস্থলে যাওয়ার পথে তাকে বাধা দেয় রাধানগর থানার পুলিস। আধ ঘণ্টা তাকে থানায় আটকে রাখার পর ছেড়ে দেয় পুলিস। কেজিরিওয়ালকে আটক করার খবর পৌছতেই দিল্লিতে আপ নেতা কর্মীরা নেমে পড়েন রাস্তায়। বিজেপি দফতরের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি শুরু হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিজেপি দফতরের সামনের এলাকা। হাতাহাতিতে দুপক্ষের পাঁচজন আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান ছুড়তে হয় পুলিসকে।

পুলিস অবশ্য কেজরিওয়ালকে আটক করার খবর স্বীকার করেনি। পুলিসের দাবি বুধবার ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে।তিনি যাতে আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলেন তানিয়ে অবহিত করতেই আপ প্রধানকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আপ শিবিরের অবশ্য দাবি কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েই তাকে আটকানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও ভাবে তার কর্মসূচি বানচাল করাই ছিল মোদী সরকারের উদ্দেশ্য। এই নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই গুজরাটের আরও কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ হয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউতেও।

.