সবচেয়ে বড় জালিয়াতি! ২.৭৮ লক্ষ বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের জেলাশাসক
২০১৭ সালে প্রথম অস্ত্রের বেআইনি লাইসেন্স কাণ্ড প্রকাশ্যে আনে রাজস্থানের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেআইনি অস্ত্রের কারবার। যুক্ত কাশ্মীরের একাধিক জেলাশাসক। কারচুপি করে পাইয়ে দিয়েছেন লাইসেন্স। অনুমান ২০১২ থেকে চলছে এই লাইসেন্স জালিয়াতি চক্র। সিবিআই-এর হাতে এসেছে সমস্ত নথি। এই মুহূর্তে এটিকে ভারতের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি বলে জানাচ্ছে সিবিআই।
শনিবার দিনভর তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রায় ২.৭৮ লক্ষ বন্দুকের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়া হয়েছে সকলের অগোচরে বেআইনি পথে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চলে আসছে এই কাজ। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে জেলাশাসকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন আইএএস অফিসার শহিদ ইকবাল চৌধুরী ও নীরজ কুমার।
এই দুর্নীতিতে গেরুয়া শিবিরকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে এই দুর্নীতি জেনেও চুপ করে রয়েছে বিজেপি। তবে, এই সিবিআই অভিযানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি।
এই ঘটনার দিকে কয়েকবছর থেকেই নজর ছিল সিবিআইয়ের। ২০২০ সালে আইএএস অফিসার রাজীব রঞ্জন সহ দুই অফিসারকে গ্রেফতার করার পর, জেরায় একাধিক তথ্য জানতে পারে সিবিআই। জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক শীর্ষ কর্তারা জালিয়াত চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৭ সালে প্রথম অস্ত্রের বেআইনি লাইসেন্স কাণ্ড প্রকাশ্যে আনে রাজস্থানের অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড।